Breaking
1 Nov 2024, Fri

এনবিএসটির আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে একাধিক নয়া পরিকল্পনা, চালানো হবে ইলেকট্রিক বাসও

জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক:-করোনার মহামারির জেরে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সংস্থার আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে একাধিক নতুন সিধান্ত নিল উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা (এনবিএসটিসি)। আজ কোচবিহারে পরিবহন সংস্থার প্রধান কার্যালয় পরিবহন ভবনে নতুন চেয়ারম্যান পার্থ প্রতিম রায়ের নেতৃত্বে বোর্ড অফ মেম্বারদের প্রথম বৈঠক হয়। অই বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পার্থ বাবু। তিনি জানান, করোনা পরিস্থিতির জেরে বর্তমানে সংস্থার মাসিক আয় কমে ১২ কোটি হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। তাই খুব শীঘ্র অই আয় বেড়ে ১৬ কোটি হবে। কিন্তু সংস্থার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ২০ কোটি টাকা।
সেই লক্ষ্যে একদিকে যাত্রী পরিসেবা যেমন আরও বৃদ্ধি করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। তেমনি বিভিন্ন শহরের পরান কেন্দ্রে থাকা সংস্থার বহু নিজস্ব জমির উপরে ভবন নির্মাণ করে বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার করা হবে। চালানো হবে ইলেকট্রিক বাসও। মূলত মেট্রোপলিটন শহর গুলোতে ওই বাস চালানোর জন্য ইরিমধ্যেই সরকারের কাছে অনুমোদন চাওয়া হয়েছে বলেও এদিন এনবিএসটিসির চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। জোড়াই সহ বন্ধ হয়ে থাকা তিনটে ডিপো খুব শীঘ্র চালু করা হবে। খুব শীঘ্র চাঁচলে নতুন একটি ডিপো চালু হবে। করোনা বিধি নিষেধ উঠে গেলেই আন্তঃরাজ্য বাস পরিসেবা চালু হবে। পুনরায় চালু করা হবে কলকাতার বাস যোগাযোগও। সুবজের পথে হাত ছানি নামে পর্যটকদের জন্য অই সংস্থার যে প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেটা পূজার আগেই চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী ডাবল ডেকার বাসটিকে ব্যবহার করে সপ্তাহে একদিন পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে ভ্রমণ পিপাসুদের বেড়াতে নিয়ে হবে।
এই মুহূর্তে এনবিএসটিসির বাসের সংখ্যা ৯৬৯ টি। রাস্তায় চলছে ৬০০ টি। করোনা পরিস্থিতি ও চালক ও কন্ডাক্টরের অভাবে বাকি বাস রাস্তায় নামানো যাচ্ছে না। এরজন্য কর্মী নিয়োগের বিষয়ে রাজ্য সরকারের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদনও করা হয়েছে। ওই কর্মী নিয়োগের কাজ হলেই আরও নতুন করে ১২০ থেকে ১৫০ টি বাস রাস্তায় নামানো সম্ভব হবে। এছাড়াও পূজা স্পেশাল হিসেবেও কিছু বাস রাস্তায় নামানোর সিধান্ত হয়েছে বলে এদিন এনবিএসটিসির চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
পাশাপাশি সংস্থার ওয়েবসাইটি আধুনিকীকরণ করে একটি অ্যাপ্স চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ইলেক্ট্রনিক টিকিট মেশিন ব্যবহার, ভেইক্যালস ট্র্যাকিং লাগানো সহ বেশ কিছু নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পার্থ বাবু বলেন, “যাত্রী পরিসেবা বাড়ানোর পাশাপাশি সংস্থার যে ৪০ খানা জমি পড়ে রয়েছে, সেটাকে যদি সঠিক ভাবে ব্যবসায়ীক ভিত্তিতে ব্যবহার করা যায়, তবে আয় বাড়ানো সম্ভব, আমরা সেটাই করতে যাচ্ছি। তবে সরকারের সাথে সাযুজ্জ রেখেই সব কিছু করা হবে।”

Developed by