জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক:-জাতীয় স্তরের ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় সোনা জয় করলেন দিনহাটা দুই কিশোরী। আজ দিল্লি থেকে ফিরেই কোচবিহার প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন ওই দুই কিশোরী ও তাঁদের কোচ। এরমধ্যে রয়েছেন দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের শুকারুরকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার করলা গ্রামের বাসিন্দা সুমাইয়া আক্তার। অন্যজন দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের বামনহাট ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পথরসন গ্রামের বাসিন্দা সঙ্গীতা বর্মণ।
এবছর ২৯ আগস্ট দিল্লির মুঙ্গেশপুর মাদার খাজানি কনভেন্ট স্কুলে ইয়ুথ গেমস অল ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়নশিপের আসর বসে। সেখানে সুমাইয়া আন্ডার সেভেন্টিন ৪০ কেজি ক্যাটাগরিতে অংশ নিয়ে গোটা দেশের মধ্যে প্রথম হন। অন্যদিকে আণ্ডার নাইন্টিন ৪৮ কেজি ক্যাটাগরিতে অংশ নিয়ে প্রথম হন সঙ্গীতা।
এদিন তাঁদের কোচ দিনহাটার বামনহাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কালমাটি গ্রামের বাসিন্দা বিক্রমাদিত্য বর্মণ বলেন, “প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়েরা সাধারণত খেলাধুলার জগতে আসতে চায় না। সেখান থেকে তাঁদের প্রশিক্ষণ দিয়ে জাতীয় স্তর পর্যন্ত নিয়ে যেতে পেরেছি, এটা আমার কাছে অনেক বড় বিষয়। এবার ওরা জাতীয় স্তরে সোনা জিতে আমার প্রশিক্ষণের সফলতা এনে দিয়েছে। একজন কোচের কাছে এটা বিশাল প্রাপ্তি।”
মূলত নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবেই ক্যারাটে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন সঙ্গীতা। এরপর সেখান থেকেই বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া। এবার জাতীয় স্তরে সোনা জয় করে আসা সঙ্গীতার এখন বড় স্বপন আন্তর্জাতিক স্তরে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা। আর তার জন্য এবার প্রস্তুতি নেবেন বলে জানিয়েছেন সঙ্গীতা। একই ভাবে সুমাইয়া জানিয়েছেন, ২০০০ সালে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ শুরু করেছিলেন। সেই থেকে খুব অল্প সময়ের মধ্যে এই সফলতায় খুশি সুমাইয়া। তাঁরও স্বপ্ন আন্তর্জাতিক স্তরে খেলতে যাওয়া। কোচবিহার জেলার ভারত –বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া প্রত্যন্ত ওই দুই গ্রাম থেকে উঠে আসা সুমাইয়া ও সঙ্গীতার জাতীয় স্তরে সোনা জিতে আসায় খুশি জেলার ক্রীড়া প্রেমীরাও