জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক:-কেএলও’র পৃথক রাষ্ট্রের দাবি নিয়ে বিজেপির অবস্থান স্পষ্ট করার দাবি জানালেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি পার্থ প্রতিম রায়। আজ নিজের বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করেন পার্থ বাবু। কেএলও’র পৃথক রাজ্যের দাবিকে বিজেপির অনেক নেতাই সমর্থন জানিয়েছিলেন। এবার যখন কেএলও পৃথক রাষ্ট্রের দাবি করছে তখন বিজেপির অবস্থান কি হবে, সেটাই জানতে চেয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস যে কোন রকম বিভাজনের নামে অশান্তি সৃষ্টির পক্ষে নয় সেটাও এদিন পার্থ বাবু জানিয়ে দিয়েছেন।
দীর্ঘদিন থেকেই পৃথক রাজ্যের দাবিতে জীবন সিংহের নেতৃত্বে কেএলও সশস্ত্র আন্দোলন করে আসছে। গত বিধানসভা নির্বাচনের পর উত্তরবঙ্গকে বাংলা থেকে পৃথক করতে চেয়ে বিজেপি সাংসদ জন বার্লা প্রথম দাবি তোলেন। এরপরেই উত্তরবঙ্গের একের এক সাংসদ বিধায়ক কেউ ঘুরিয়ে কেউ সরাসরি জন বার্লার দাবিকে সমর্থন করে গেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহারের রাজবংশী নেতৃত্ব বাংলা ভাগের বিরোধিতা করায় কেএলও চিফ জীবন সিংহ গোপন ড্যারা থেকে ভিডিও বার্তা দিয়ে সেই রাজবংশী তৃণমূল নেতৃত্বকে কার্যত শাসিয়েছেন। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকা বিজেপি নেতৃত্ব উত্তরবঙ্গকে পৃথক করার দাবি নিয়ে ফের এখানকার আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কাও সৃষ্টি হয়েছিল।
কিন্তু গতকালই কেএলও’র আরেক নেতা পাভেল কোচ জীবন সিংহের একটি চিঠি ভিডিও পোস্ট করে স্যোসাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ায় নতুন করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। সেই চিঠিতে জানানো হয়েছে, উত্তরবঙ্গ নিয়ে পৃথক রাজ্য নয়, বরং অসমের ১৯ টি জেলা, বাংলার ৭ জেলা, বিহারের একাংশ, নেপাল ও বাংলাদেশের কিছু অংশ নিয়ে পৃথক রাষ্ট্র ঘোষণা করার দাবি করা হয়েছে সেখানে। ওই চিঠি ভাইরাল হতেই কোচবিহারের রাজবংশী তৃণমূল নেতৃত্ব এবার বিজেপির অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য চাপ দিতে থাকে। এদিন পার্থ সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “ উত্তরবঙ্গে উন্নয়ন হয়নি বলে দাবি করে বিজেপি নেতৃত্ব পৃথক রাজ্যের দাবি করেছিলেন। এবার কেএলও উত্তর পূর্ব ভারতের বেশ কিছু এলাকায় কেন্দ্রীয় সরকার উন্নয়ন করতে পারে নি বলে পৃথক রাষ্ট্রের দাবি করছেন। বিজেপি নেতৃত্ব কি এই দাবিকে স্বীকার করে নেবেন? সেটা দ্রুত স্পষ্ট করুক বিজেপি নেতৃত্ব।