জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক:- তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে কেএলও’র পৃথক রাষ্ট্রের দাবি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি গিরিন্দ্রনাথ বর্মণ। আজ মাথাভাঙা নজরুল মঞ্চে জেলার মূল অনুষ্ঠানটি করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। সেখানে দলীয় পতাকা উত্তোলনের পর বক্তব্য রাখেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বরা।
গিরিন বাবু ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়রাম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহনের চেয়ারম্যান পার্থ প্রতিম রায়, বিনয় কৃষ্ণ বর্মণ, আব্দুল জলিল আহমেদ সহ একঝাক নেতৃত্ব।
সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ বলেন, “ পৃথক রাষ্ট্র চেয়ে ফের উত্তরবঙ্গকে অশান্ত করার চক্রান্ত হচ্ছে। এনিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার তাঁর ভূমিকা স্পষ্ট করুক। ভারত একবার ভাগ হয়ে পাকিস্থান বাংলাদেশ হয়েছে। নতুন করে আর কোন বিভাজন চাই না আমরা।” এদিন সকালেই পার্থ প্রতিম রায় কেএলও’র দাবি নিয়ে বিজেপির অবস্থান স্পষ্ট করার দাবি জানানোর পর এবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভায় তাঁদের আরেক নেতৃত্বের এভাবে সরব হওয়ার ঘটনায় এই ইস্যুকে নিয়ে যে তৃণমূল কংগ্রেস ব্যাপক ভাবে ময়দানে নাম্বে, সেটা অনেকটাই স্পষ্ট বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
দীর্ঘদিন থেকেই পৃথক রাজ্যের দাবিতে জীবন সিংহের নেতৃত্বে কেএলও সশস্ত্র আন্দোলন করে আসছে। গত বিধানসভা নির্বাচনের পর উত্তরবঙ্গকে বাংলা থেকে পৃথক করতে চেয়ে বিজেপি সাংসদ জন বার্লা প্রথম দাবি তোলেন। এরপরেই উত্তরবঙ্গের একের এক সাংসদ বিধায়ক কেউ ঘুরিয়ে কেউ সরাসরি জন বার্লার দাবিকে সমর্থন করে গেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহারের রাজবংশী নেতৃত্ব বাংলা ভাগের বিরোধিতা করায় কেএলও চিফ জীবন সিংহ গোপন ড্যারা থেকে ভিডিও বার্তা দিয়ে সেই রাজবংশী তৃণমূল নেতৃত্বকে কার্যত শাসিয়েছেন।
কিন্তু গতকালই কেএলও’র আরেক নেতা পাভেল কোচ পৃথক রাষ্ট্রের দাবি জানিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ওই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতেই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পৃথক রাজ্যের দাবি করে আসা বিজেপি নেতৃত্বকে চাপে ফেলতে সরব হন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। এখন দেখার এই ইস্যু নিয়ে বিজেপি কিভাবে তাঁদের অবস্থান স্পষ্ট করে।