Breaking
24 Dec 2024, Tue

আন্তঃরাজ্য ব্যাঙ্ক ডাকাতির ‘গ্যাং’ ধরা পড়ল ঝাড়গ্রামে, ছক বানচাল করল পুলিশ1

ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেস্কঃ ব্যাঙ্ক ডাকাতি করতে এসে একটি আন্তঃরাজ্য ‘গ্যাং’ ধরা পড়ল নয়াগ্রামে। শুক্রবার ভোরে গ্যাংটি ওড়িশায় একটি এটিএম ভেঙে টাকা লুঠ করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পুলিশের তাড়া খেয়ে পালিয়ে এসে নয়াগ্রামে এসে খড়িকামাথানিতে একটি ব্যাঙ্ক লুঠের ছক কষে ছিল। সোর্স মারফৎ খবর পেয়ে পুলিশ চারিদিকে ঘিরে ফেলে। নয়াগ্রামের খড়িকামাথানি এলাকায় হাতে নাতে মারুতি সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতেরা হল- সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়(৩২), সোনু সিং(২৩), আশরফ আলি মল্লিক (২৩), শেখ শামিম (২৯) ও শেখ ফিরোজ(২৩)। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর টাউন থানার আরামবাটিতে সোমনাথের, পাঁচবেড়িয়ায় শেখ শামিমের, গাঁধীনগরে শেখ ফিরোজের বাড়ি। সোনু সিংয়ের বাড়ি খড়্গপুর গ্রামীণ থানার অন্তর্গত লুলুয়াকোলা ও আশরফ আলি মল্লিকের বাড়ি সাদাতপুরে।
পুলিশের দাবি, ধৃতরা পুলিশি জেরায় ব্যা ঙ্ক ডাকাতি করার ঘটনা স্বীকার করেছে। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই ‘গ্যাং’টি আগে ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, গড়বেতা ও খড়্গপুরে ব্যাঙ্ক ডাকাতি করেছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার ভোরে সোর্স মারফৎ খবর পেয়ে ওড়িশায় ব্যাঙ্ক ও এটিএম লুঠের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় একটি ডাকাতের দল। এমনকি ওড়িশায় একটি ব্যাঙ্ক লুঠের জন্য ঢুকেছিল। কিন্তু নিরাপত্ত রক্ষীর ধস্তাধস্তির পর তারা পালিয়ে যায়। তারপর তারা নয়াগ্রাম ব্লকের খড়িকামাথানি এলাকায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কে ডাকাতির ছক কষেছিল। সেই মত পুলিশ চারিদিকে ওঁত পেতে থাকে। বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ করে দেয়। নয়াগ্রামে ঢুকতেই সাতটা নাগাদ পুলিশ মারুতি সহ তাঁদেরকে হাতে নাতে ধরে ফলে। পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘ওড়িশায় এটিএম ভেঙে ডাকাতির চেষ্টা করেছিল পারেনি। পুলিশের তাড়া নয়াগ্রামে ব্যাঙ্ক ডাকাতি করতে এসেছিল। এরা ব্যাঙ্ক ডাকাতি, এটিএম ডাকাতি, জাতীয় সড়কে ছিনতাইয়ের সঙ্গে যুক্ত।’’ শুক্রবার ধৃত পাঁচজনকেই ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে তোলা হয়। বিচারক ধৃতদের একদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘ধৃতদের মধ্যে মূল চক্রী সোমনাথ। এক সপ্তাহ আগেই সোমনাথ জেল বেরিয়ে আবার ডাকাতির চেষ্টা শুরু করেছিল। আরও দু’জন পালিয়ে গিয়েছে। তাঁদের ধরার চেষ্টা চলছে। এই গ্যাংয়ের সঙ্গে আরও যারা জড়িত রয়েছে তাঁদের খোঁজ চলছে। ধৃতদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’

Developed by