Breaking
1 Nov 2024, Fri

অনলাইন প্রতারণার ফাঁদে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র, খোয়া গেল প্রায় ৮১ হাজার টাকা!

জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক:-অনলাইন প্রতারণার ফাঁদে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র, খোয়া গেল প্রায় ৮১ হাজার টাকা। সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের।ঘটনাটি নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার মাজদিয়া সটলেক পাড়ার। জানা যায় বাবা পেশায় দিনমজুর , মা গৃহকর্মী । একমাত্র ছেলে মাজদিয়া রেল বাজার হাইস্কুলের ছাএ । অভাবের সংসার তবু অনলাইনে ক্লাস করার জন্য ছেলেকে একটা দামী স্মার্ট ফোন কিনে দিতে বাধ্য হয় পরিবার । আর এই ফোনই পথে বসায় পরিবারকে । অভিযোগ ,ছেলের মোবাইলে ফোন আসে গ্যাস অফিস নাম করে। ফোনে বলা হয় গ্যাসের ভর্তুকি টাকা দেওয়া হবে! বলে তাকে প্রলোভন দেখানো হয়। তার পর চাওয়া হয় ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার এবং এটিএম নাম্বার। কিছুক্ষণ পর তার ফোনে একটি ওটিপি ঢুকলে ওটিপি নাম্বারটি দেয়া হয়। এরপর প্রলোভন কারীরা জানান তার একাউন্টে টাকা ঢুকবে না আগে তাকে অনলাইনে পেমেন্ট করতে হবে তারপরেই তার একাউন্টে ভর্তুকির টাকা ঢুকবে। প্রলোভনের ফাঁদে পড়ে ছেলেটি তার বাড়ীতে কাওকে না জানিয়ে একটি কম্পিউটার সেন্টারে চলে যায় । সেখান থেকেই ঘটে অঘটন, পরপর বেশ কয়েকবার টাকা টান্সফার করা হয় প্রলোভনকারীর একাউন্টে । মোট ৮১হাজার টাকা ট্রান্সফার করে কম্পিউটার সেন্টারের দোকানদার ।এরপর কম্পিউটারের দোকানদার ছেলেটির কাছ থেকে টাকা চাইলে কান্না শুরু করে ছেলেটি । দোকান দার নাবালক ছেলেটিকে আটকে রাখে । খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে আসে। এবং দোকানদারের কাছ থেকে সমস্ত বিষয়টি শোনে এর পর তাদের কাছ থেকে কোর্ট কোর্ট পেপারে টাকা মিটিয়ে দেবার কথা লিখিয়ে নেওয়া হয় । পরিবারের পক্ষ থেকে কৃষ্ণগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় । পরে কৃষ্ণনগর সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ জানানো হয় বলে জানান পরিবারের সদস্যরা । টাকা চুক্তি মোতাবেক দিতে দেরি হওয়াই পরিবারকে হুমকি দেয় কম্পিউটার সেন্টারের মালিক । শেষপর্যন্ত ধার দেনা করে ৭০হাজার টাকা দিয়ে রেহাই পায় পরিবার । স্বভাবতই এই ঘটনায় পরিবারের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ।তারা চান প্রশাসনের সহযোগিতা যদি তারা টাকা ফিরে পান তাহলে অভাবের সংসার ধারদেনা করা পরিবারটি আবার নতুন করে বাঁচবে ।

Developed by