জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক :- তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ দিনহাটায় গিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে এখবর জানিয়েছেন কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার। গতকাল সকালে দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের গীতলদহ এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই গুলি বোমা তীর ছুঁড়ে আক্রমণ করার অভিযোগ ওঠে। ভাঙচুর করা হয় বেশ কিছু মোটর সাইকেল ও বাড়িঘর। এছাড়াও একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে ও ৩ জন তীর বিদ্ধ হয়ে আহত হন। তাঁদের বর্তমানে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
এদিন দিনহাটায় সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশ সুপার বলেন, “ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩২ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। আরও বেশ কয়েকজন অভিযুক্ত রয়েছেন। তাঁদেরকেও গ্রেপ্তার করা হবে। গীতলদহে গতকালের ঘটনা ছাড়াও অতি সম্প্রতি আরও কিছু সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনের পরেও এমন ঘটনা আর কোন ভাবেই চলতে দেওয়া হবে না। পুলিশ এর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।”
দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের গীতলদহ ১ ও ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা সিতাই বিধানসভার অন্তর্গত। গত বিধানসভায় ওই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়ে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জগদীশ চন্দ্র বসুনিয়া। নির্বাচনে জয়লাভের পরেই তৃণমূলের একটি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে অন্তর্ঘাত করার অভিযোগ তোলেন বিধায়ক অনুগামীরা। আর সেই অভিযোগে ওই ব্লকের তৎকালীন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি প্রসন্ন কুমার দেশ শর্মাকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি তোলেন বিধায়ক পন্থিরা। সম্প্রতি ব্লক সভাপতি পরিবর্তনও করে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব। কিন্তু পরিবর্তন করে যাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় সঞ্জয় বর্মণ নামে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতাকে তিনিও বিধায়ক পন্থীদের পছন্দের তালিকায় ছিলেন না। আর সেই কারণে গীতলদহে নয়া ব্লক সভাপতি বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। গতকাল সেই বিক্ষোভ সংঘর্ষের চেহারা নেয় বলে জানা গিয়েছে।