জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক : গীরিন্দ্র নাথ বর্মন কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি হবার পর পঞ্চানন বর্মার আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করে শুরু করলেন রাজনৈতিক যাত্রা।
শুক্রবার তিনি মাথাভাঙ্গা সংলগ্ন পঞ্চানন মোরে পঞ্চানন বর্মার মূর্তিতে মাল্যদান করে পঞ্চানন বর্মার জন্মভিটে খলিসামারির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যান। সেখানে পঞ্চানন বর্মার আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করেন। ওই কর্মসূচিতে তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যান পার্থ প্রতিম রায়, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কমলেশ অধিকারী, মজিরুল হোসেন, বিশ্বজিৎ রায়, জয়ন্ত রায়, আলিজার রহমান, কামাখ্যা বর্মন সহ আরও অনেকে।এদিন পঞ্চানন বর্মার মূর্তিতে মাল্যদান করার পর কোচবিহার জেলা তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি গিরিন্দ্র নাথ বর্মন ও উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার চেয়ারম্যান পার্থ প্রতিম রায় কে সংবর্ধনা দেন ফুলের তোড়া দিয়ে।এদিন নব নিযুক্ত কোচবিহার জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, আমার অনুগামী কাউকে হতে হবে না। অনুগামী হতে হবে একজনেরই সে হল মমতা ব্যানার্জি। আজ কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি নেই। শুধু আজ পঞ্চানন বর্মার মূর্তিতে মাল্যদান করলাম এবং পঞ্চানন বর্মার জন্মভিটে সহ বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করলাম।প্রসঙ্গত, ২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে মাথাভাঙ্গা বিধানসভার প্রার্থী হন গিরিন্দ্র বাবু। কিন্তু নির্বাচনের বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হয়। তারপর ভোটের ফলাফলের পর তিনি বিজেপি প্রার্থীর নিকট পরাজিত হন। এমতবস্থায় কোচবিহার জেলার তৃণমূলের রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও পার্থ প্রতিম রায়ের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল যখন প্রকাশ্যে। ঠিক তখনি কায়দা করে গোষ্ঠী কোন্দল মিটিয়ে নেওয়ার জন্য জেলা সভাপতির মত গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হল গীরীন্দ্র নাথ বর্মন কে। জেলা সভাপতি পদ ঘোষনার পর গিরিন্দ্রণাথ বাবু ব্যক্তিগত কাজের জন্য মালদায় যান। তারপর গতকাল বাড়ি ফিরে এসে আজ পঞ্চানন বর্মার মূর্তিতে মাল্যদান করেন এবং পঞ্চানন বর্মার জন্মভিটে সহ বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করেন রাজনৈতিক ভাবে তার পথ চলা শুরু করলেন বলে মনে করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল।