Breaking
24 Dec 2024, Tue

রাজ্যের মধ্যে প্রথম ঝাড়গ্রাম জেলার কাপগাড়ির সেবাভারতী মহাবিদ্যালয়ে পালন করা হল ‘খেলা হবে দিবস’

জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক : রাজ্যের মধ্যে প্রথম ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি ব্লকের সেবাভারতী মহাবিদ্যালয়ে পালন করা হল ‘খেলা হবে দিবস’। এদিন সন্ধ্যায় কলেজ কর্তৃপক্ষ এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে খেলার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদরা। কলেজের শারীরশিক্ষা বিভাগের উদ্যোগে এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রাজ্যের বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক দেবনাথ হাঁসদা। বিশেষ অতিথি হিসেবে তিন ক্রীড়াবিদ সহ কলেজের সহ-অধ্যক্ষ বিনোদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে। খেলার মাধ্যমে কীভাবে শারীরিক ও মানসিক বিকাশ সম্ভব সে বিষয়ে আলোচনা করেন অর্জুন পুরস্কার প্রাপ্ত প্রথম মহিলা ভারতীয় ফুটবলার শান্তি আইচ মল্লিক, ফুটবলে প্রথম ভারতীয় ফিফা অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি অনামিকা সেন, বিশিষ্ট ভারতীয় ফুটবলার সুমিত মুখার্জী, সদ্য মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কৃত হয়েছেন পিএফআই রেফারি তথা জঙ্গলমহলের কন্যা রাজশ্রী হাঁসদা। মূলত জঙ্গলমহলের ছেলেমেয়েদের কিভাবে আরো ফুটবলে উন্নতি করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়। পাশাপাশি ফুটবল নিজেদের জীবন গঠনেও কিভাবে সাহায্য করতে পারে সে বিষয়েও আলোকপাত করে অতিথিরা। অনেকেই নিজেদের ফুটবল জীবনের কথাও তুলে ধরেন পড়ুয়াদের কাছে। রাজ্যের বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন,‘খেলাধুলার মাধ্যমে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠে একে অপরের সঙ্গে। কিন্তু বর্তমানে খেলা বাচ্চাদের ক্ষেত্রে উঠে যেতে বসেছিল। সেখানে মোবাইলের প্রতি আসক্তি বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু খেলার বিকল্প নেই। খেলার মাধ্যমে বাচ্চাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ সম্ভব। যা আমাদের প্রিয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলের কাছে তুলে ধরেছেন। যা ভবিষ্যতে আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠবে রাজ্য ছাড়িয়ে দেশের গণ্ডিতে।’ প্রধান অতিথি তথা বিনপুরের বিধায়ক দেবনাথ হাঁসদা বলেন,‘খেলা ছোট একটা শব্দের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে অনেক বৃহৎ মানে। এবারের নির্বাচনে খেলা হবে শব্দটি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় লাভ করেছে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরেই। খেলা প্রতিটি মানুষের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে রয়েছে। কলেজের হাত ধরে খেলার বিস্তার ঘটুক এটাই আমরা চাই।’ কলেজের অধ্যক্ষ দেবপ্রসাদ সাহু বলেন,‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী আজকের দিনটিকে খেলা হবে দিবস ঘোষণা করেছেন। সে জন্য আমাদের কলেজের শারীরশিক্ষা বিভাগ সমাজ গঠনে খেলার গুরুত্ব সম্পর্কে তাঁদের মূল্যবান বক্তব্য তুলে ধরেন। যা আমাদের মত প্রত্যন্ত এলাকার কলেজের পড়ুয়াদের কাছে উৎসাহ জোগাবে তা বলাই বাহুল্য।’

Developed by