জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক :- ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল গীতালদহ ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান বীথিকা বর্মনের স্বামী ও ছেলে। বুধবার দিনহাটার গীতালদহের নবনী এলাকায়। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছে দিনহাটা থানার পুলিশ ও আরপিএফ। এটা কি নিছক দুর্ঘটনা, নাকি আত্মহত্যা তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের গীতালদহ দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রধান ছিলেন বীথিকা বর্মণ। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে এর ফলে একটি গোষ্ঠী তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আসে। অবশেষে তলবি সভায় বিথীকা বর্মনের প্রধান পদ খারিজ হয়ে যায়। তারপর থেকে মানসিক অবসাদে ভুগতেছিল। কিন্তু আজ নবনী গ্রামে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাক্তন প্রধানের স্বামী প্রদীপ বর্মন এবং ছেলে পল্লব বর্মন মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় এলাকায় প্রচণ্ড চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এটা কি নিছক দুর্ঘটনা নাকি কোনো চাপে পড়ে তারা আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধান পদ খারিজ হওয়ার পরেও ওই পরিবারের ওপর নানা হুমকি ও মানসিক চাপ আসতে থাকে।
মৃত প্রদীপ রায়ের ভাই সন্দীপ বর্মণ এদিন অভিযোগ করে বলেন, “চক্রান্ত করে আমার বৌদিকে প্রধান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এরপর থেকেই নানা ভাবে টাকা চেয়ে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। আর তাতেই মানসিক চাপ সহ্য না করতে পেরে ছেলেকে আত্মঘাতী হয়েছে।”
গীতালদহ ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আবুয়াল আজাদ অভিযোগ করে বলেন, “বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়া ও তাঁর শাগরেদ নূর আলম হোসেন বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে থাকা বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা নিয়ে এসে প্রধানদের সরিয়ে দিচ্ছে। গীতালদহ ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছিল। প্রধানপদ যাওয়ার পর থেকে বীথিকা রায় বর্মণের পরিবারের কাছে এক কোটি টাকা চেয়ে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। শুধু তাই নয়, গোটা এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন বিধায়ক ও তাঁর শাগরেদ। তাঁদের এই অত্যচারের জেরেই ১৪ বছরের ছেলেকে নিয়ে ট্রেনে ঝাপ দিয়ে আত্মঘাতী হলেন প্রাক্তন প্রধানের স্বামী প্রদীপ বর্মণ।”