জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক : রানাঘাটের আইশতলা গড়বাগানের বৌমার ‘মাংসের ঝাল মুড়ি’তে এখন লক্ষীর আগমন! হ্যাঁ, করোনা কালে যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ কাজ হারিয়েছে। সেখানে পরিবারে লক্ষী এসেছে বৌমার হাত ধরেই। আর তাতেই খুশি শ্বশুরবাড়ির সদস্যরাও।
দীর্ঘ ১৪ বছরের আলাপ। তা থেকেই ভালবাসা। শুরুটা হয়েছিল স্কুলে পড়াশোনার সুবাদে। তারপর বাকিটা ইতিহাস। ৭ বছর সরকারি চাকরির জন্য অপেক্ষা করেও জোটেনি চাকরি! চাকরি না পেয়ে প্রথমে মোবাইল সারানো, পরবর্তী কালে স্কুটি মোটর সাইকেল সারানো থেকে নানা কাজ করেছেন। কিন্তু দুঃখ-দুর্দশায় একে অপরকে ছেড়ে চলে যায়নি। বরং বন্ধনটা আরো মজবুত হয়েছে। আর তা থেকেই আস্থা ও বিশ্বাস রেখে ভালোবাসার হাত ধরে জীবনসাথী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন দু’জনে। তাঁরা হলেন নদীয়ার রানাঘাটের আইশতলা গড়ের বাগান এলাকার বাসিন্দা নীহাররঞ্জন মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী রুপা মজুমদার।
স্বামী-স্ত্রী একসাথে একই পেশায় নিযুক্ত হলেন। শুরু করলেন নয়া ইনিংস। আর তাতেই কেল্লাফতে! কাজের প্রতি ভালোবাসা থাকলে সফল হওয়া যায় তাই করে দেখালেন মজুমদার দম্পতি।
করোনা কালে বাড়ির বাইরে পা রেখেই মুখের স্বাদ বদলের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। আর সে বিষয়টি লক্ষ্য করেই ব্যবসায়িক সুবুদ্ধি জন্মায় ওই দম্পতির। মুখরোচক খাবার বেচেই দু’মুঠো অন্ন যোগাবেন তারা। তবে রেসিপি হবে সম্পূর্ণ নিজস্ব! যা ইউটিউব বা বিভিন্ন খাদ্য খাবার এর ওয়েবসাইটে খুঁজে পাওয়া যাবে না। রুপা এবং তার শাশুড়ি মিলে মুরগির মাংসের ছোট ছোট কিমা বানিয়ে কিছু অন্য ধরনের মসলা ব্যবহার করে সম্পূর্ণ ভিন্ন স্বাদের মাংস কষা তৈরি করলেন। যা মুড়ি মিশিয়ে বানালেন ‘মাংসের ঝাল মুড়ি’! বিক্রির জন্য অবশ্য ঘরের বউকে বাইরে বেরোনোর অনুমতি দিতে প্রথম দিকে একটু দেরি হলেও পরবর্তীতে অবশ্য বৌমার সাথে লক্ষীর আগমনে ছাড় দেন শাশুড়ি। আর সেই মুড়ি খেতে ভিড় জমায় সকলে।