জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক :- পারিবারিক অশান্তির জেরে হাঁসুয়া দিয়ে শাশুড়িকে কোপালো জামায় । এমনি ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের ভাজনঘাটের নোনাগঞ্জ খাসপাড়াই । প্রতিবেশীদের দাবি জামায় দিপু সদ্দার প্রতিদিনই স্ত্রী ও পুএ সন্তানের উপর অত্যাচার করত । কাছাকাছি শশুর বাড়ী হওয়ায় শশুর শাশুড়ি মাঝে মাঝে জামাইকে বোঝাবার চেষ্টা করে ।জামায় সেন্টারিঙের কাজ করে । অভাবের সংসারে স্ত্রী পাপিয়া সর্দ্দার বিড়ি বাধেন । শশুর সবসময় জামাইকে আর্থিক সহায়তা করে থাকেন । তবুও জামাই মাঝে মাঝে স্ত্রীকে ও ছেলেকে মারধোর করে । স্ত্রী বাপের বাড়ি থেকে টাকা পয়সা না আনলে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেয় ।এর আগে একবার স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করে । কিন্তু আজ মেয়েকে প্রচন্ড় মারধোর করতে থাকলে শাশুড়ি মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে জামায় শাশুড়িকে হাঁসুয়া দিয়ে কোপায় ।মেয়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে ।জামায় পালিয়ে যায় । প্রতিবেশীরা পার্বতী দেহেরিকে কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে শক্তি নগর জেলা হাসপাতালে পাঠায় । সেখানেও অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতা হাসপাতালে পাঠানো হয় । পরিবারের পক্ষ থেকে কৃষ্ণগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ । অভিযুক্ত জামায় পলাতক এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ।