Breaking
25 Dec 2024, Wed

একাধিক দাবিতে বিধাননগর থানায় স্মারকলিপি দিতে গিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসল বিজেপির দুই বিধায়ক সহ বিজেপি কর্মীরা

জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক :-বৃহস্পতিবার একাধিক দাবিতে শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বিধাননগর থানায় স্মারকলিপি দিতে গিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসল বিজেপি দুই বিধায়ক। এদিন প্রথমে বিধাননগরে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে সামনে থেকে একটি মিছিল বের করে। এবং মিছিল শেষে বিধাননগর থানায় স্মারকলিপি দিতে যায়। তখন বিধাননগর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি না থাকায় থানার সামনেই অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির শিলিগুড়ি বিধায়ক শংকর ঘোষ,ফাঁসিদেওয়ার বিজেপির বিধায়ক দুর্গা মুর্মু,বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার সভাপতি কাঞ্চন দেবনাথ,বিজেপির
বিধাননগর মন্ডল কমিটির সভাপতি কুমুদরঞ্জন মজুমদার সহ বিজেপির নেতা কর্মী সমর্থকরা। এই বিষয়ে শিলিগুড়ির বিজেপির বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন আজকে বিধাননগর মন্ডল কমিটির পক্ষ থেকে একাধিক দাবিতে বিধাননগর থানায় স্মারকলিপি দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ,বিজেপি কর্মীদের উপর প্রশাসনিক চাপ,বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে বিজেপি কর্মীদের,বালু পাচার থেকে গরু পাচার। এবং আমরা চেয়ে ছিলাম যিনি বিধাননগর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলা কিন্তু তিনি নেই। এর পাশাপাশি তিনি আরও যে বিভিন্ন জায়গায় খবর পেলাম এবং সংবাদ মাধ্যমে জানতে পারলাম তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি তাকে শিলিগুড়ির সম্ভবত ১৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তিনিও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রভাবশালী নেতার খুব কাছের লোক বলেই চিহ্নিত। এবং গ্রেফতার করেছে ভিন রাজ্যের পুলিশ। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনা দার্জিলিং জেলায় আলোরণ ফেলেছে। সরকার দলের লোক বলেই কি পুলিশ এদের সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না। বিরোধীদের বিরুদ্ধে যেভাবে তারা সক্রিয় সরকারি দলের লোক অন্যায় করে তাহলে তাদের নিষ্কিয়তা কিন্তু প্রশ্ন উঠে। আর থানার সামনে বসে পড়লাম তার কারণ বিধাননগর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক নেই। বিরোধীরা হচ্ছে গনতন্ত্রে শাসকের আয়না। আর কেউ যদি শাসক দলের
সরকারি আধিকারিক হয়েও এই ধরনের অন্যায় প্রশয় দেয় তাহলে বিবেকও সায় দিবে না। অপর বেশ কিছুক্ষণ পড় বিজেপি দুই বিধায় ও কর্মীরা অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নেন। এবং থানার গেটের সামনেই স্মারকলিপিটি আঠা দিয়ে লাগিয়ে চলে যান।

Developed by