জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক : তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রী শুচিস্মিতা দত্ত শর্মার উপড়ে আক্রমণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার উত্তেজনা ছড়াল কোচবিহার কোতোয়ালি থানার সামনেই। আজ সকালে কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের পানিশালা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পানিগ্রাম ঘুঘুমারি এলাকায় আক্রান্ত হন তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভানেত্রী শুচিস্মিতা দত্ত শর্মা। তিনি বর্তমানে কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ওই ঘটনায় বিজেপি বিরুদ্ধে আক্রমণের অভিযোগ ওঠে।
ওই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা কো-অর্ডিনেটর অর্ঘ্যরায় প্রধানের নেতৃত্বে থানায় অভিযোগ করতে যায়। ওই সময় দলের বিধায়িকা মালতি রাভার নেতৃত্বে একই ঘটনা নিয়ে থানায় যান বিজেপির বেশ কয়েকজন নেতা কর্মী। থানার সামনে মালতি রাভার গাড়ি পৌঁছাতেই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা স্লোগান দিতে শুরু করে। গাড়ি থেকে নেমে পাল্টা স্লোগান দেন বিজেপি কর্মীরাও। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করে থানার ভিতর থেকে পুলিশ কর্মীরা বেড় হয়ে আসেন। পরে ওই পুলিশ কর্মীদের নিরাপত্তাতেই থানার ভিতরে যান বিজেপি নেতৃত্বরা।
কোতোয়ালি থানার সামনে দাঁড়িয়ে মালতি রাভা রায় বলেন, “নিজেদের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রী। তারপরেও আমাদের কর্মীদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে থানায় তুলে নিয়ে এসেছে। রাজ্যের শাসক দলের দুষ্কৃতি আর পুলিশ যেভাবে বিরোধীদের উপর বুলডোজার চালাচ্ছে, তা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”
অন্যদিকে গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে থানার সামনে দাঁড়িয়েই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অর্ঘ্য রায় প্রধান বলেন, “একজন মহিলা নেত্রীর উপড়ে আক্রমণ করা হয়েছে। আমাদের আরও এক মহিলা তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছেন। বিজেপির এই বর্বরোচিত আক্রমণের পর এখন আবার আমাদের গোষ্ঠী কোন্দল বলে চালিয়ে দেওয়া চেষ্টা করছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে তৃতীয় বার তৃনমূলকে ক্ষমতায় এনে বিজেপি মিথ্যচারের জবাব দিয়েছে মানুষ। কিন্তু তারপরেও তাঁদের মিথ্যচার বন্ধ হয় নি।”