জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক :- গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে দলীয় এক কর্মীকে গুলি করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে। দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের গীতালদাহ ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর নাম সায়েদ হোসেন (ঝন্টু)। তাঁর পায়ে গুলি লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। তিনি বর্তমানে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সায়েদ হোসেন অভিযোগ করে জানান, গতকাল সন্ধ্যায় গীতালদহ স্টেশনে বসে বন্ধুদের সাথে চা খাচ্ছিলেন। ওই সময় গীতালদহ ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আবুয়াল আজাদ ও তাঁর ছেলে সেখানে আসে। আবুয়াল আজাদের নির্দেশে তাঁর ছেলে সায়েদকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে ওই গুলি এসে পায়ে লাগে।
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা কোচবিহার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নূর আলম হোসেন বলেন, “আবুয়াল আজাদ ও তাঁর বাহিনী ওই এলাকায় প্রাকশ্যে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাণ্ডব চালিয়ে বেড়াচ্ছে। গতকাল সন্ধ্যায় এনিয়ে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা প্রতিবাদ করতে গেলে আবুয়াল আজাদের ছেলে গুলি চালায়। তাতে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সায়েদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হন। আমরা চাই পুলিশ প্রশাসন বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার করে ওই এলাকাকে সন্ত্রাস মুক্ত করুক। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।”যদিও এনিয়ে আবুয়াল আজাদ বা তাঁর অভিযুক্ত ছেলের কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নি।
প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে দিনহাটায় মাদার যুব’র লড়াই কোচবিহারের অন্যতম রাজনৈতিক চর্চা হয়ে উঠেছিল। সেখানকার বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েতের সাথে গীতালদহ ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতেও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকে লড়াই করা প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নির্দল হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন যুব তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। শেষ পর্যন্ত গীতালদহ ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত নির্দলদের দখলে চলে যায়। যদিও পরবর্তীতে ওই নির্দল পঞ্চায়েত সদস্যরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেও দলের অভ্যন্তরে থাকা গোষ্ঠী কোন্দল এখনও অব্যাহত রয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের পরে সেই কোন্দল আবার মাথাচার দিয়ে উঠেছে। তার জেরেই গীতালদহের ওই গুলি কাণ্ড বলে মনে করা হচ্ছে।