জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক :- তৃনমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতির বাড়ি লক্ষ করে গুলি চালানোর অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। রবিবার দুপুরে কোচবিহার জেলা তৃনমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি পার্থ প্রতিম রায়ের জিরানপুরের বাড়িতে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ওই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় কোচবিহার জেলা পুলিশের উচ্চ আধিকারিক সহ আরও অনেকে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুর ২ টা নাগাদ কোচবিহার জেলা তৃনমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা প্রাক্তন সাংসদ পার্থ প্রতিম রায়ের নাটাবাড়ি বিধানসভা এলাকার জিরানপুরের বাড়ি লক্ষ্য করে একাধিক রাউন্ট গুলি চালায় বলে অভিযোগ। কিন্তু পার্থবাবু ওই গ্রামের বাড়িতে ছিলেন তাঁর মা, বাবা, দাদা সহ পরিবারের অন্যরা। পার্থবাবু যদিও কোচবিহারে থাকেন। চার থেকে পাঁচজন গাড়িতে করে এসে হামলা চালালেও গুলিতে কেউ জখম হননি। তবে ফেরার সময় দুষ্কৃতীরা একটি বাইক নিয়ে পালিয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়েই বাড়িতে ছুটে যান পার্থবাবু। বাবা-মা সহ অন্যদের খবর নেন তিনি।
তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক খোকন মিয়া বলেন, আমাদের জেলা সভাপতির বাড়ি গুলি চালানোর ঘটনা কোন ভাবে মেনে নেওয়া যায় না। আমরা চাই ওই গুলি যেই চালাক না কেন তাঁদের পুলিশ খুঁজে গ্রেপ্তার করুন।
কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থ প্রতিম রায় জানান,’আমি জিরানপুরের বাড়িতে এখন থাকি না। ওই বাড়িতে থাকে বাবা ও মা। দুপুরে কে বা কারা বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায় তা বাবা ও মা কেউ বুঝতে বা চিনতে পারে নি। বিষয়টা তদন্ত সাপেক্ষ। পুলিশ গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।’
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই কেএলওর তরফে পার্থপ্রতিম রায় ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মনকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। তারপরই এই হামলার ঘটনায় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে এর পিছনে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কিছুদিন আগেই বিজেপির কিছু লোকজনকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ানো নিয়ে জিরানপুরে তৃণমূলের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। তার জেরেই এই হামলা কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।