Breaking
1 Nov 2024, Fri

৪০ বছরের সমস্যার সমাধান মাত্র ৭ দিনে! গ্রামে গিয়ে বৃদ্ধার জমি হস্তান্তর করলেন বিচারক, নিখরচায় পরিষেবা পেয়ে খুশি বৃদ্ধা গৌরী নায়েক


জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক : এ যেন ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেখা! কিন্তু একথা স্বপ্ন নয় সত্যিই। বাস্তবিক সেই চিত্র দেখল জামবনি ব্লকের ইটামারো গ্রামের বাসিন্দারা। ওই গ্রামের বাসিন্দা বিধবা বৃদ্ধা গৌরী নায়েক। গৌরীর পাশেই রয়েছে লুলু বেরার বাড়ি। গত ৪০ বছর ধরে গৌরীর বাস্তু জমির কিছুটা জায়গা দখল করে বেড়া দিয়ে রেখেছিলেন লুলু। লুলুকে বার বার দখলে রাখা জায়গা ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেও কোন সুরাহা হয়নি গৌরীদেবীর। ইদানিং গৌরীর পাশের জমিতে লুলু বেরা সরকারি বাড়ি তৈরি করছিলেন। গৌরী নায়েক বিনামূল্যে আইনি পরিষেবার কথা জানতে পারেন। তারপর তিনি জামবনি ব্লকের পার্শ্ব-আইনি সহায়ক মোহিত বেজের মাধ্যমে এসে উপস্থিত হন ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের দপ্তরে। ৮ জুলাই সমস্যার কথা লিখিত ভাবে গৌরীদেবী জানান ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব তথা বিচারক সুনীলকুমার শর্মাকে। বৃদ্ধার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রি-লিটিগেশন মামলা রুজু করা হয়। এমনকি জামবনি ব্লকের বিএলআরও-র কাছে ওই জমি সংক্রান্ত রির্পোট তলব করেন বিচারক। ১৩ জুলাই রির্পোট পাওয়ার পর এদিন ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব তথা বিচারক সুনীলকুমার শর্মা গ্রামে গিয়ে দু’পক্ষকে ডেকে সমস্যার সমাধান করেন। উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের অফিস মাস্টার সুব্রত বারিক,পার্শ্ব-আইনি সহায়ক মোহিত বেজ। জমি ফেরত পেয়ে খুশি বৃদ্ধা। ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব তথা বিচারক সুনীলকুমার শর্মা বলেন,‘গত ৪০ বছর ধরে জমি সংক্রান্ত সমস্যা ছিল দু’পক্ষের মধ্যে। ৩ ফুট চওড়া ৪০ ফুট লম্বা জায়গা দখল করে রেখেছিল। আজকে দু’পক্ষের উপস্থিতিতে বিষয়টির নিষ্পত্তি করা হয়েছে। গৌরী নায়েকের জমি ফেরত দেওয়া হয়েছে।’

Developed by