জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক : সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির প্রতারণায় বেহালার এক মহিলা সহ ওডিশার রাজ্যের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছেন, ধৃতেরা হলেন শুভাশিষ পতি ও নিতু রায়। শুভাশিষ পতির বাড়ি ওডিশার ভুবনেশ্বরে। আর নিতুর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেহালা এলাকায়। দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির নাম করে ঝাড়গ্রামের এক বাসিন্দার কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা ডোনেশন নিয়েছেন। টাকা নেওয়ার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছিলেন তাঁরা। এমনকি মোবাইল ফোনও বন্ধ করে দেয়। যার ফলে টাকা দিয়ে অথৈ জলে পড়েছিলেন ঝাড়গ্রামের শহরের রঘুনাথপুরের ইরিগেশন অফিসের সামনের বাসিন্দা অবর্না ঘোষ দাস। ১ ফ্রেবুয়ারি ২০২১ তারিখে অবর্না ঘোষ দাস ঝাড়গ্রাম সাইবার ক্রাইম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগে অবর্না ঘোষ দাস জানিয়েছেন,‘‘আমার ছেলে সাত্যকি রঞ্জন দাস ডাক্তারি(এমবিবিএস) পড়ার জন্য ২০২০ সালের নিট পরীক্ষা দিয়েছিল। গত বছর ৫ ডিসেম্বর একটি ফোন নম্বর থেকে আমাদের কাছে ফোন আসে। সেখানে জানানো হয় আমরা এসএন সফটেক সলিউশন থেকে বলছি। এটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ আধিকারিকদের সংগঠন। আমরা সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা করে দিই। এর জন্য ডোনেশন দিতে হবে। সেই মত ১২ লাখ টাকা অনলাইনের মারফত উনাদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিই। টাকা পাঠানোর পর থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। আর ফোন করে কোন যোগাযোগ করতে পারিনি আমরা।’ এই ঘটনায় ঝাড়গ্রাম সাইবার থানার পুলিশ প্রতারণা ও আইটি ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তে নেমে গতকাল ৮ জুলাই কলকাতার নিউটাউন এলাকা থেকে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃত দু’জনকে ঝাড়গ্রামের সিজেএম বিচারক এডুইন লেপচার এজলাসে তোলা হলে জামিন খারিজ করে ধৃত শুভাশিষ পতিকে চার দিনের পুলিশ হেফাজত এবং নিতু রায়কে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।