জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক : মাঝে মধ্যেই পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হচ্ছে সাধারণ মানুষের। এমনই পথদুর্ঘটনা সাক্ষী রইল বেলাকোবা। গতকাল দলীয় কর্মসূচি সেরে ফিরছিলেন মাথাভাঙা ১ নং ব্লকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শ্যামাচরণ রায়। হঠাৎই পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে মোটর সাইকেলের ধাক্কা লাগে। গুরুতর আঘাত পায় বাইকে থাকা গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক সদস্য ও তৃণমূল নেতা শ্যামাচরণ রায়। তাদের দুজনকে মাথাভাঙ্গা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পড়ে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তৃণমূল নেতা শ্যামাচরণ রায়কে মৃত বলে ঘোষণা করে। অপরজন নরেশ বর্মনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে কোচবিহার সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।জানা গেছে, মৃত শ্যামাচরণ রায় তৃণমূল প্রভাবিত গোপালপুর অঞ্চলের কিষান ক্ষেতমজুর সেলের সভাপতি ছিলেন। তার স্ত্রী গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান।এই ঘটনার খবর জানাজানি হতেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বিমল বর্মন বলেন,দলীয় কর্মসূচি ছেড়ে বাড়ি ফেরার পথে শ্যামাচরণ রায়ের এভাবে মৃত্যু হবে। এটা মেনে নিতে পারছি না। দলের অপূরণীয় ক্ষতি হলো তার মৃত্যুতে। শ্যামাচরণ রায় এর অকাল প্রয়াণে শোক জ্ঞাপন করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মাথাভাঙা ১ নং ব্লক সভাপতি মহেন্দ্র নাথ বর্মন।অন্যদিকে গতকালকের শ্যামাচরণ রায় এর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ মাথাভাঙ্গা শিলিগুড়ি রাজ্য সড়কে মাঝির বাড়ি গলাকাটা পাকা রাস্তায় স্থানীয় বাসিন্দারা অবরোধ করে। অবরোধের ফলে বেশ কিছুক্ষণ যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়। বর্তমান ওই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।