জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক : ঝাড়গ্রাম জেলার দুটি থানা এলাকায় দুই ‘খুনের’ কিনারা করে জোড়া সাফল্য পেল পুলিশ। একটি ঝাড়গ্রাম থানা এলাকায় প্রেম সম্পর্কিত খুনের ঘটনা। অন্যটি জামবনিতে বিজেপি নেতার রহস্য মৃত্যু। দুটি ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ খুনের ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছিল। গত ৩০ জুন ঝাড়গ্রাম শহরের চাঁদাবিলায় এক ভাড়া বাড়িতে থেকে গৃহবধূর গলা কাটা দেহ উদ্ধার করেছিল ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ। ঘটনায় বধূর প্রথম পক্ষের স্বামীকে আটক করেছিল। তারপর জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ জানতে পারে ওই বধূর বর্তমান প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে প্রথম পক্ষের স্বামী গলা কেটে খুন করে। ধৃত প্রথম পক্ষের স্বামীর নাম মাসাং মাণ্ডি এবং প্রেমিকের নাম ডমন হেমব্রম। মঙ্গলবার ধৃত দু’জনকে ঝাড়গ্রামের সিজেএম আদালতের বিচারক এডুইন লেপচার এজলাসে তোলা হয়। পুলিশের আবেদনের ভিত্তিতে বিচারক ঘটনার তদন্তের স্বার্থে ৬ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে, জামবনিতে ভোট পরবর্তী বিজেপির কিষান মোর্চার সম্পাদক কিশোর মাণ্ডি বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাইক নিয়ে ঝাড়গ্রাম আসার পথে সন্ধ্যায় খুন হন। প্রতিবেশিদের খবর পেয়ে পরিবারের লোকেরা ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষনা করেন। ওই ঘটনায় মৃতের ভাই ফগল মাণ্ডি দাদাকে খুন করা হয়েছে বলে জামবনি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। যদিও অভিযোগে কারো নাম ছিল না। ঘটনার তদন্তে নেমে জামবনি থানার পুলিশ বঙ্কিম মাহাতোকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার বঙ্কিম মাহাতোকে ঝাড়গ্রামের সিজেএম বিচারক এডুইন লেপচার এজলাসে তোলা হয়। পুলিশ তদন্তের জন্য পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানালে বিচারক দু’দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেছেন। দুটি খুনের ঘটনায় দ্রুত কিনারা করায় আশ্বস্থ হয়েছেন মৃতের পরিবারের লোকেরা।