জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক : জামবনির নাগদি গ্রামে প্রসাদ খেয়ে ৬০টি পরিবারে ডায়রিয়া! বিএমওএইচ সহ মেডিক্যাল টিম গ্রামে গিয়ে চিকিৎসা শুরু করলেন শুক্রবার। জামবনি ব্লকের পড়িহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের নাগদি গ্রামে এহেন ঘটনার কথা শুক্রবার প্রথমে জানতে পারেন তৃণমূলের নাগদি বুথ সভাপতি বাবলু মুর্মু। তারপরেই ওই গ্রামে পৌঁছায় জামবনি ব্লকের বিএমওএইচ অভিরূপ সিং এর নেতৃত্বে ৯ জনের একটি মেডিক্যাল টিম। তাঁরা বাড়ি বাড়ি পরিদর্শণ করে স্থানীয় শিশুর আলয় কেন্দ্র থেকে সকলকে ওষুধ-পত্র বিলি করেন। জানা গিয়েছে, গ্রামবাসীদের উপসর্গ হিসেবে মূলত পায়খানা-বমি হচ্ছে। কিছুজনের আবার গায়ে জ্বরও রয়েছে। সংখ্যাটা প্রায় দেড়শো জন। তাঁদের মধ্যে ২৩ জনের শারীরিক অবস্থার অবনতি লক্ষ্য করে চিলকিগড় গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও গ্রামের সকলের করোনার অ্যান্টিজেন টেস্টও করা হয়েছে। তাতে অবশ্য সকলের রিপোর্ট নেগেটিভ রয়েছে। তৃণমূলের নাগদি বুথের সভাপতি বাবলু মুর্মু জানিয়েছেন, ৩০ জুন হুল দিবসের দিন খালি পেটে থাকার পর পুজো শেষে বেলা এগারোটা নাগাদ সকলে প্রসাদ খেয়েছেন। যাঁরা যাঁরা প্রসাদ খেয়েছেন তাঁদের মধ্যে প্রথম পায়খানা শুরু হয় ওই দিন রাত থেকে। ৬০টি পরিবারে ডায়রিয়া হয়েছে। ঝাড়গ্রাম জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা জানিয়েছে, সম্ভবত ফুড পয়জনিং এর জেরে ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দিয়েছে। মেডিক্যাল টিম গিয়ে গ্রামের সকলের চিকিৎসা শুরু করেছেন।