Breaking
1 Nov 2024, Fri

করোনা কালে ভার্চুয়াল হুল দিবস পালন করল ঝাড়গ্রামের সাধু রামচাঁদ মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয়

জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক : করোনা কালে ভার্চুয়াল হুল দিবস পালন করল ঝাড়গ্রামের সাধু রামচাঁদ মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয়। ‘আদিবাসী’ সংগঠন এবং ঝাড়গ্রামের সাধু রামচাঁদ মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে বুধবার সন্ধ্যা ছ’টা থেকে ভার্চুয়ালের মাধ্যমে হুল দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন অতিথিরা। সাঁওতালী গানের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মৌ মুর্মু। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাধু রামচাঁদ মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক অমিয়কুমার পাণ্ডা। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সুমহান বন্দ্যোপাধ্যায়। হুল দিবসের গুরুত্ব ও আজকের দিনে দাঁড়িয়ে তার তাৎপর্য ব্যাখা করেন সাহিত্য একাদেমি পুরষ্কার প্রাপ্ত সাঁওতালী লেখক খেরওয়াল সরেন। তিনি প্রথমে সাঁওতালী ভাষায় আলোচনা করেন। তারপর কিছুক্ষণ বাংলায় বক্তব্য রাখেন। সাহিত্য একাদেমি পুরষ্কার প্রাপ্ত সাঁওতালী লেখক খেরওয়াল সরেন বলেন,‘আজ আমরা ১৬৭ তম হুল দিবস উদযাপন করছি। সিধু-কানু, চাঁদ-ভৈরবের মূর্তি চারিদিকে বসানো হচ্ছে দেখছি। কিন্তু শুধু মূর্তি বসালে হবে না। যে অধিকারের জন্য সাঁওতালরা হুল আন্দোলন করেছিল তার আত্মসমীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের সর্বাঙ্গীন উন্নতির জন্য অনেক প্রচেষ্টা করছেন কিন্তু তার সুবিধা আমরা এখনও নিতে পারেনি। লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত রয়েছে অনেক সাঁওতাল জনগন। যাঁরা শহরের বাসিন্দা হয়েছেন তাঁরা শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছেন। আর প্রত্যন্ত গ্রামের সাঁওতালরা এখনও পিছিয়ে রয়েছে। স্বাক্ষরতার হার কম। দিনের বেলায় কঠোর পরিশ্রম করে রাতের বেলায় মাদক সেবন করে নিজেদের কষ্টকে ভুলে থাকছেন। যাঁরা জন প্রতিনিধি রয়েছেন তাঁদেরকে আবেদন করব এ বিষয়ে দৃষ্টি আর্কষণ করতে। তাহলেই আমাদের ১৬৭ তম হুল দিবসের সার্থকতা।’ পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ‘আদিবাসী’ সংগঠনের সম্পাদক মনোজ মুর্মু। সবশেষে স্বরচিত কবিতা সাঁওতালী ভাষায় পাঠ করেন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাঁওতালী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক শ্যামচরণ হেমব্রম।


Developed by