জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক : একের পর এক বিপর্যয় আর সেই বিপর্যয়ের আতঙ্ক হয়ে ওঠে শান্তিপুর স্টিমার ঘাট এলাকার সাধারণ মানুষের। এর আগেও একাধিকবার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ভাগীরথীর ভাঙ্গনে বিঘা বিঘা চাষের জমি সহ ভিটে বাড়ি চলে গেছে গঙ্গাবক্ষে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হলেই ক্রমশ গঙ্গা ভাঙ্গন শুরু হতে থাকে, ঠিক তেমনই আবারো বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে শান্তিপুর স্টিমারঘাট ভাগীরথীর তীরে ভাঙ্গন শুরু হয়। স্বভাবতই ভাঙ্গন শুরু হাওয়াই আবারও আতঙ্কে এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর অভিযোগ গঙ্গা ভাঙ্গন নিয়ে প্রশাসনের কোনো মাথাব্যথা নেই, মাঝেমধ্যে ভাঙ্গন শুরু হলেই কয়েক বস্তা বালির বস্তা ফেলে প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু হয় কিন্তু পাকাপোক্তভাবে গঙ্গার পাড় বানানোর ব্যবস্থা কবে নেওয়া হবে? সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই এলাকায় বেশ কিছু রাজনৈতিক নেতারা ছুটে আসে কিন্তু সমস্যা সমাধানের কথা কেউ বলেন না। এছাড়াও বালির বস্তা দিয়ে প্রাথমিক কাজ নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন এলাকাবাসী। যেভাবে বালির বস্তা গঙ্গার পাড়ে ফেলা উচিত সেটা তো হচ্ছেই না নাম সাক্ষী বালির বস্তা ফেলে প্রাথমিক কাজ করা হচ্ছে। এলাকাবাসীর এখন একটাই দাবি, বালির বস্তা ফেলে প্রাথমিক কাজ না করে পাকাপোক্তভাবে গঙ্গার পাড় বাঁধানো কাজ শুরু হোক। না হলে তিলেতিলে ভাগীরথীর ভাঙনে একটা সময় স্টিমারঘাট এলাকা বলে নামটা একদিন মুছে যাবে কারণ গোটা গ্রামটায় চলে যাবে ভাগীরথী নদীতে।