জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক : ৪০ বছর ধরে বাঁশের সাঁকোর উপর নির্ভরশীল ছিল উত্তর ধামারগছের কয়েক হাজার মানুষ। সেই বাঁশের সাঁকো ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে সমস্যায় পড়েছে ওই এলাকার মানুষ। ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকের চোপড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ডগনদীর ভেড়ভেড়ী ঘাটের উপরে। ভারি বৃষ্টির ফলে নদীতে ভেসে যায় বাঁশের সাঁকোটি। এখন মানুষের যাতায়াতের জন্য নির্ভর করতে হয় নৌকো। বর্তমানে ভেরভেরী ঘাট ও কলেজ ঘাটে নৌকা দেওয়া রয়েছে তবে উত্তর ধামারগছ ঘাটে নৌকা দেওয়া হয়নি। এলাকাবাসীর অভিযোগ চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান তিনি প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনও পর্যন্ত কোনও কাজ হয়নি। নদী পারাপারের জন্য লাগছে আসা যাওয়া বাবদ ১০টাকা। চোপড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধানের প্রতিনিধিকে এই ব্যাপারে বলা হলে তিনি বলেন, গতকাল বৃষ্টির ফলে বাঁশের সাঁকো ভেঙ্গে যায়। সেই খবর শুনতে পেয়ে তাদের জন্য আমরা চোপড়া ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুটি নৌকোর ব্যবস্থা করি। যদিও আগের নৌকাগুলো ভেঙে গেছে তার জন্য নতুন নৌকা আনা হয়েছে। বর্তমানে এ নৌকার মাধ্যমে যাতায়াত করে নদী পারাপার করা হচ্ছে। এই ব্রীজ বানানোর ব্যাপারে আমরা চোপড়া বিধায়ক হামিদুল রহমান এর সঙ্গে কথা বলবো। ব্রীজের কাজ কতদূর কি রয়েছে আমরা খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহণ করব। অন্যদিকে এবিষয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলার জেলা শাসক অরবিন্দ কুমার মিনা কে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানিয়েছেন এ বিষয়টি তার জানা ছিলনা। সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে তিনি বিষয়টি জানতে পারেন। এবং মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী এই ধরনের সমস্যা খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেন। সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা আমাদেরকে জানান। আমরা তাড়াতাড়ি ওইসব এলাকায় গিয়ে পৌঁছায়। এই বিষয়ে আমি ইসলামপুর মহকুমা শাসককে বলব যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তিনি একটি রিপোর্ট করে আমাকে পাঠানোর জন্য। এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা এই সমস্যার সমাধান করব বলে জানান তিনি ।