Breaking
25 Dec 2024, Wed

বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন দুই ছেলেকে নিয়ে রোজগারহীন এক ভ্যানচালক কোনক্রমে দিনযাপন করছেন

জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক : বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন দুই ছেলেকে নিয়ে রোজগারহীন এক ভ্যানচালক কোনক্রমে দিনযাপন করছেন। এমনই চিত্র ইসলামপুরের বাইপাস সংলগ্ন শিয়ালতোর এলাকায় । দুই ছেলের বয়স যথাক্রমে আঠারো ও কুড়ি বছর । আর মেলেনি কোন ভাতাও। ইসলামপুর ব্লকের শিয়ালতোর গ্রামের বাসিন্দা আশুতোষ বিশ্বাস। তার দুই ছেলে উজ্জ্বল ও উৎপল বিশ্বাস জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধকতার চিহ্ন নিয়ে কোন রকমে বেঁচে রয়েছে। ওদের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় চলাফেরার একমাত্র ভরসা ওদের মা দিপালী বিশ্বাস। এই দুই যুবককে রীতি মতন কোলে করে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যান তিনি। প্রায় দুই দশক ধরে এভাবেই দিপালী বিশ্বাস কে আগলে রাখতে হয়েছে দুই ছেলেকে ।তার স্বামী আশুতোষ বিশ্বাস পেশায় ভ্যানচালক। ভ্যান চালিয়ে যা আয় হতো তা দিয়ে কোনরকমে সংসার চলে যেত কিন্তু লকডাউনের জেড়ে প্রায় দেড় বছর বন্ধ ওই আয়। কারণ ভ্যান খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে বাড়িতে। একদিকে ভ্যান মেরামত করার জন্য যতটুকু অর্থ দরকার তা যেমন নেই তার কাছে তেমনি বয়সের ভারে তিনি আগের মতন আর এখন ভ্যান চালাতে পারেন না। দুবেলা ঠিকমত খাবার জুটত না ওদের ।এই খবর শুনে এগিয়ে এসেছে ইসলামপুরে রামকৃষ্ণ আশ্রম। বিগত কয়েক মাস ধরে তারা প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার ও রন্ধন সামগ্রী সরবরাহ করছেন পরিবারের সদস্যদের সকলের জন্যই।উচ্চ বিদ্যালযয়ে যাবার উপায় ছিল না দুই ভাইয়ের। তাই প্রাথমিক স্তরের গণ্ডি পেরোতে না পেরোতেই ওদের আর হাই স্কুল যাওয়া হয়ে ওঠেনি । তাই শিক্ষার আলো থেকে শত যোজন দূরে ওদের অবস্থান। তাহলে ওদের ভবিষ্যৎ কি? এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো কারো জানা নেই। কারণ দুজনের হাত পা এতটাই অসার যে কোন রকম ভাবে কুটির শিল্প তৈরীর মাধ্যমে বেঁচে থাকারও যে একটু সুযোগ ছিল তাও বুঝি বিধাতা কেড়ে নিয়েছে। ওদের জন্য স্থায়ী কোন বন্দোবস্ত করার ক্ষেত্রে প্রশাসন কিংবা কোনো জনপ্রতিনিধি কেউই তেমন ভাবে এগিয়ে আসেননি। কিছু সমাজকর্মীর চেষ্টায় কোনরকম তাদের দুবেলা চলছে।

Developed by