জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক : ঝাড়গ্রাম জেলার ঝাড়গ্রাম ব্লকের গড় শালবনি সহ পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলিতে প্রতিনিয়ত হাতির হামলার ঘটনা ঘটছে। হাতির হামলায় যেমন প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে , তেমনি ঘরবাড়ি ফসলের ক্ষতি হচ্ছে , ক্ষতি হচ্ছে ফলের বাগানের। তাই গ্রামবাসীরা হাতির সমস্যা সমাধানের জন্য বন দফতর এর কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছিল গ্রামবাসীদের সাথে আলোচনায় বসার জন্য। গ্রামবাসীদের আবেদনে সাড়া দিয়ে সোমবার ঝাড়গ্রাম ব্লকের গড় শালবনিতে বনদপ্তরের আধিকারিকদের সাথে শালবনি সহ পাশাপাশি বারোটি গ্রামের গ্রামবাসীদের নিয়ে এক বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে গ্রামবাসীরা তাদের আট দফা দাবি বন দপ্তরের আধিকারিকদের হাতে তুলে দেয়। তাদের দাবির মধ্যে অন্যতম হলো হাতির হামলায় ফসলের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় তা খুবই কম ,ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বাড়াতে হবে। যে সকল ফলের বাগান গুলি নষ্ট করে দিয়েছে তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। হাতির হামলায় পঙ্গু হয়ে যাওয়া দের প্রতিমাসে ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সেই সঙ্গে হাতিগুলিকে ওই এলাকা থেকে অন্য কোথাও পাঠানোর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। হাতি র ওপর নজরদারির জন্য ২৪ ঘন্টা বনদপ্তরের কর্মীদের ওই এলাকায় রাখতে হবে। সেই সঙ্গে যে সব এলাকায় ফলের বাগান একেবারে নষ্ট করে দিয়েছে বন দফতরের উদ্যোগে সেই এলাকায় ফলের চারা রোপণ করতে হবে। বনদপ্তরের আধিকারিকরা গ্রামবাসীদের বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। সেই সঙ্গে বন দপ্তরের আধিকারিকদের পক্ষ থেকে হাতিগুলির উপর বন দফতরের কর্মীরা নজরদারির করছে জানানো হয়এবং আগামী দিনেও করবে। বন দফতরের আধিকারিকদের সাথে গ্রামবাসীদের বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলে গ্রামবাসীরা জানান। তবে তাদের দাবি না মানা হলে আগামী দিনে তারা বৃহত্তর আন্দোলন করবে বলে সরাসরি বন দপ্তরের আধিকারিকদের জানিয়ে দিয়েছেন। বনদপ্তর আধিকারিকরা গ্রামবাসীদের দাবিগুলি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানান।