জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক : বিজেপি কর্মীকে মারধর ও বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা বাজির অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। মাথাভাঙ্গা ১ নম্বর ব্লকের জোড়পাটকি গ্রাম পঞ্চায়েতের নেন্দার পাড় এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে মাথাভাঙা থানার পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিজেপির ৯ নম্বর মন্ডলের সভাপতি রাজিব সরকার বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় একদল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী এলাকায় ঢুকে প্রথমে আমাদের এক বিজেপি কর্মীর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে এবং পরে এক বিজেপি কর্মীকে মারধর করে। বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর তৃণমূল বুঝে গিয়েছে এখানে মানুষ আর তাঁদের সমর্থন করছে না। তাই এসব করে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের দলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু তৃণমূল এসব যত করবে, মানুষ আরও বেশী তাঁদের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে উঠবে।” অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আলিজার রহমান বলেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা বিজেপি কর্মীর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা বাজি ও মারধোর করার অভিযোগ ভিত্তিহীন। এটা বিজেপির আদি ও নব্য বিজেপির মধ্যে গণ্ডগোল। আমাদের দলের বদনাম করতে এই অভিযোগ আনা হয়েছে।” ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা বন্ধে পুলিশ প্রশাসন মাথাভাঙ্গায় অনেক বেশী সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যেই মাথাভাঙা থানার পুলিশ রাজনৈতিক গণ্ডগোলে অভিযুক্ত একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু তারপরেও মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন এলাকায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিরোধী বিজেপির মধ্যে গণ্ডগোলের খবর আসছে। বিজেপির অভিযোগ, পুলিশ নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করছে না বলেই এমন ঘটনা বন্ধ করা যাচ্ছে না। রাজনৈতিক হিংসা বন্ধ করতে হলে পুলিশকে নিরপেক্ষ হতে হবে।