ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেস্ক : করোনা পজিটিভ দিনমজুর অমর বর্মন। আজ দুপুর বেলা ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে অমর বর্মন এর বাড়িতে এসে দৈনন্দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবারের ব্যবস্থা করে দিলেন। তার মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, সরিষার তেল, আলু, পেঁয়াজ, কাঁচা লঙ্কা, ডিম একপাতা প্রভৃতি জিনিসপত্র তার পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয়। সে সময় উপস্থিত ছিলেন মাথাভাঙ্গা ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির নারী শিশু ও সমাজকল্যাণ কর্মদক্ষ কল্যাণী রায়, মাথাভাঙ্গা ১ নং ব্লক পঞ্চায়েত উন্নয়ন আধিকারিক হিমাংশু মোহন্ত, ব্লক কডিনেটর তাপস বর্মন প্রমূখ। এদিন খাদ্যসামগ্রী হাতে পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন এবং খুশি হয়েছেন করণায় আক্রান্ত দুস্থ রোগী অমর বর্মন এর স্ত্রী কুঞ্জলতা বর্মন ও মা রেনুবালা বর্মন।
একদিকে চলছে করোনার ভয়াবহতা, ক্রমশই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে,তারপর চলছে লকডাউন।এরই মাঝে একদিকে আতঙ্ক অপরদিকে সমস্যা,সব মিলিয়ে বিপর্যয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে গোটা রাজ্যে। বাদ নেই মাথাভাঙ্গা। মাথাভাঙ্গায় করোনার আক্রান্তের সংখ্যা প্রত্যেক দিন বাড়ছে। সমস্যায় পড়ছেন দিন আনা দিন খাওয়া করণায় আক্রান্ত রোগীর পরিবার। জানা গেছে, মাথাভাঙ্গা ১ নং ব্লকের পচাগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মধ্য বাইশগুড়ি গ্রামের অমর বর্মন প্রায় দুই মাস থেকে পেটের অসুখে ভুগছেন,তারমধ্যে করোনা পরীক্ষা করে দেখা যায় তার রিপোর্ট পজেটিভ। এমত অবস্থায় দিনমজুরি করা অর্থাৎ প্লাইউড কারখানায় শ্রমিকের কাজ করা অমর বর্মন এর পরিবার এখন অসহায় অবস্থায় রয়েছে। পিতা মানসিক ভারসাম্যহীন নিরুদ্দেশ, মা তিনি অসুস্থ। স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে পরিবার বাঁচানো এখন দুষ্কর হয়ে পড়েছে অমর বর্মনের। পাশেই থাকেন গ্রামের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য বর্তমানে মাথাভাঙা ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির নারী শিশু ও সমাজকল্যাণ কর্মদক্ষ কল্যাণী রায়। তিনি এই বিষয়টি জানতে পেরে ব্লক প্রশাসনকে সবিস্তারে জানান।
এবিষয়ে পঞ্চায়েত সমিতির কর্মদক্ষ কল্যাণী রায় বলেন,পরিবারটির সত্যিই খুব অসহায় তাই তাদেরকে আপাতত ১৭ দিনের খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলো ভবিষ্যতেও যদি সমস্যায় পড়েন তাহলে নিশ্চয়ই খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।
এদিন এবিষয়ে মাথাভাঙ্গা ব্লক কর্ডিনেটর তাপস বাবু বলেন, গতবারও এরকম করোনা আক্রান্ত রোগীদের পরিবার যারা ভীষণ গরিব তাদের সাহায্য করা হয়েছিল এবারও তা করার প্রক্রিয়া চলছে।
এদিন এবিষয়ে মাথাভাঙ্গা ১ নং ব্লকের বিডিও সম্বল ঝা বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত যারা দুস্থ অসহায় দিনমজুর পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী তাদের যেহেতু হোম কোয়ারেন্টাইন এ থাকতে হয় তাই বাড়ির বাইরে গিয়ে রোজগার করা সম্ভব হয় না তাই তাদের পাশে ব্লক প্রশাসন যতটা সম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করছে ভবিষ্যতেও এই চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’