Breaking
1 Nov 2024, Fri

করোনা আক্রান্তের মৃতদেহ পড়ে রইল ৯ ঘণ্টা, যুব তৃণমূল নেতার উদ্যোগে হল সৎকার

ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশঃ
মৃত্যুর পর টানা ৯ঘন্টা বাড়িতে পড়ে রইল মৃতদেহ। সৎকারের কাজে এগিয়ে এলো না পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রতিবেশীরাও। শেষমেশ সৎকারের দায়িত্ব কাঁধে তুললেন গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকের যুব তৃণমূলের সভাপতি সত্যকাম পট্টনায়েক। এর আগেও সত্যকামকে করোনা আক্রান্তের পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে গতবছর। গতবছর করোনা পরিস্থিতিতে এক জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে হাসপাতাল নিয়ে গেছিলেন পিপিই কিট পরে। এমনকি করোনা এক আক্রান্তের বাড়িতে গিয়েও খাবার দিয়ে এসেছিলেন সত্যকাম। সেই ঘটনার পর আবার করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধের সৎকারের দায়িত্ব নিলেন সত্যকাম। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম বঙ্কিম চন্দ্র সাউ(৮৫)। বৃদ্ধের বাড়ি গোপীবল্লভপুরে। গত ২১এপ্রিল বৃদ্ধ অসুস্থ হওয়ায় গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ওইদিন তাঁর জ্বর আসে ও অ্যন্টিজেন টেস্ট হলে তাঁর পজেটিভ রিপোর্ট আসে। ওইদিন রাতেই তাঁকে ঝাড়গ্রাম করোনা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। মঙ্গলবার রাতে স্বাভাবিক সুস্থ থাকায় মুচলেখা দিয়ে তাঁকে বাড়িয়ে নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা। এদিন সকালে সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তাঁর ছেলে প্রভাত সাউ খাবার দিতে গিয়ে দেখেন তাঁর বাবা আর বেঁচে নেই। ওই ঘটনার পরেই পরিবারের গোপীবল্লভপুর থানার পুলিশ কে একাধিকবার জানিয়েছে৷ এমনকি ব্লক প্রশাসনকেও একাধিক বার জানিয়েছে। কিন্তু কেউ সৎকারের কাজে এগিয়ে আসেনি। বিকেল তিনটে পর্যন্ত সৎকার না হওয়ায় ওই ব্যক্তির বাড়িতে পিপিই কিট পরে যান সত্যকাম। তিনি এবং মৃত বৃদ্ধের ছেলে প্রভাত দুজনেই পিপিই কিট পরে একটি গাড়িতে মৃতদেহ তুলে গোপীবল্লভপুরে সুবর্নরেখা নদীরে তিরে নিয়ে যায়। তার পরেই বাধে বিপত্তি। স্থানীয় ডোমপাড়া এলাকার মহিলারা রাস্তা অবরোধ শুরু করেন। তাদের দাবী, কেন করোনা আক্রান্তের মৃতদেহ এখানে সউকার হবে! সাড়ে ৩টা থেকে প্রায় আধঘণ্টা অবরোধ চলে। অবশেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। সত্যকাম বলেন, “পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি। তাই শেষমেশ নিজেই এগিয়ে এসেছি। বাড়ির লোক কাঠ এবং গাড়ির ভাড়া দিয়েছে। আমি শুধু সহযোহিতা করেছি। মানুষ হয়ে জন্মেছি, মানুষের কাজ করার জন্য।”

Developed by