ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেস্ক :
ভ্যাকসিনের সঙ্কট। ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে নতুন ভ্যাকসিন দেওয়া বন্ধ, শুধুমাত্র দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে প্রথম ভ্যাকসিন নিতে আসা মানুষেরা স্বাস্থ্য দপ্তরের উপর প্রচন্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বুধবার প্রথম পর্যায়ে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য হাসপাতালে এসে নাম নথিভুক্ত করে যান গ্রামবাসী থেকে ঝাড়গ্রাম শহরের বাসিন্দারা। সেই সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের জানাই ২২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তাদের প্রথম করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তাই করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার ভোর থেকে লম্বা লাইন পড়ে যায় ঝাড়গ্রাম হাসপাতালের সামনে। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা সত্ত্বেও কাউকে প্রথম ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি। অবশেষে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না। যখন প্রথম ডোজের ভাকসিন দেওয়া হবে তখন সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে। কেবলমাত্র দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। যার ফলে ভ্যাকসিন নিতে আসা মানুষদের প্রশ্ন তাহলে কেন বুধবার তাদের নাম নথিভুক্ত করা হলো এবং কেনই বা তাদের বৃহস্পতিবার ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য ডাকা হল তার কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যার ফলে একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দূর-দূরান্ত থেকে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে ভ্যাকসিন নিতে আসে মানুষেরা। এদিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যেভাবে ঝাড়গ্রাম শহরে পড়েছে তার জন্য করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য মানুষ ভোর থেকে এসে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তা সত্ত্বেও ভ্যাকসিন না পাওয়ায় ক্ষুব্দ হয়ে তারা বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। তবে ঝাড়গ্রাম জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা বলেন, ‘প্রতিটি ভ্যাকসিন কেন্দ্র চালু আছে। শুধুমাত্র দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে।’করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। ২২ শে এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্য প্রকাশিত স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩১৬৯ , তার মধ্যেই সুস্থ হয়েছে ৩০৮৭ , মৃত্যু হয়েছে ২২ , বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬০ জন রয়েছেন করোনা হাসপাতালে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা যায় এখনো পর্যন্ত ঝাড়গ্রাম জেলায় করোনা ভ্যাকসিন প্রথম ডোজ ৫৭ হাজার ৭০০ দেওয়া হয়েছে এবং ৩০ হাজার ৯৩১ দ্বিতীয় ডোজের দেওয়া হয়েছে।