ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেস্ক : নির্বাচনের মাত্র ৬ দিন আগে ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুরে বিজেপিকে জোর ধাক্কা দিলো রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম বিধানসভার অন্তর্গত গোপীবল্লভপুর এক ব্লকের যাত্রা ময়দানে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী দুলাল মুর্মুর সমর্থনে এক নির্বাচনী জনসভার আয়োজন করা হয়। ওই নির্বাচনী জনসভায় বিজেপি নেতা নিত্যানন্দ সেনাপতি ও বিনোদ টুডুর নেতৃত্বে প্রায় একহাজার বিজেপি কর্মী সমর্থক বিজেপি দল ছেড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। তাদের হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তুলে দেন তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এবং নয়াগ্রাম বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী দুলাল মুর্মু, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা উজ্জ্বল দত্ত, সত্যরঞ্জন বারিক, লোকেশ কর, কালিপদ সুর, হেমন্ত ঘোষ সহ তৃনমূলের অন্যান্য নেতৃত্বরা। উল্লেখ করা যায় যে গোপীবল্লভপুর এক পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। বিজেপির মহিলা নেত্রী তথা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ রীতা সেনাপতি। তার স্বামী নিত্যানন্দ সেনাপতি এবং গোপীবল্লভপুর ব্লকের বিজেপির আদিবাসী সংগঠন এর অন্যতম নেতা হলেন বিনোদ টুডু। ওই দুই বিজেপি নেতার নেতৃত্বে প্রায় এক হাজার বিজেপি কর্মী ও সমর্থক বিজেপি দল ছেড়ে রবিবার ভোটের মুখে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। তা দেখে খুশি সকলেই। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া সকলের হাতে পতাকা তুলে দেওয়ার পর তৃনমূল কংগ্রেসের নেতা অনুব্রত মণ্ডল তাদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন আরো কয়েকটা দিন বাকি আছে নির্বাচনহতে, তার আগে আরো বহু বিজেপি কর্মী সমর্থক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করবেন। শনিবার গোপীবল্লভপুর বিধানসভা কেন্দ্রের কেশিয়াপাতা এলাকায় ৫০০ জনের ও বেশি বিজেপি কর্মী ও সমর্থক বিজেপি দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছিল। তার রেশ কাটতে না কাটতেই রবিবার নয়াগ্রাম বিধানসভার গোপীবল্লভপুরে প্রায় এক হাজার বিজেপির কর্মী ও সমর্থক বিজেপি দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় নির্বাচনের মুখেবিজেপি নেতাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তাই ২০২১ সালের হাইভোল্টেজ এই বিধানসভা নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম জেলার চারটি আসনে তৃণমূল কংগ্রেস এর প্রার্থীরা জয়লাভ করবে বলে ঘোষণা করেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই সঙ্গে বিজেপিকে চার শূন্য গোলে হারানোর জন্য আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে রাখলেন দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের। যার ফলে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা অনুব্রত মন্ডলের ভাষণ শুনে খুবই উজ্জীবিত বলে তারা জানান।