ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেস্ক : এ যেন বিতর্ক পিছু ছাড়ে না! জঙ্গলমহলে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা এলেই ঘটছে বিজেপির বিপত্তি। আর তা নিয়ে সরবও হচ্ছে শাসকদল তৃণমূল। তৃণমূলের পক্ষ থেকে এমনকি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বার বার অভিযোগ করেছেন,’বিজেপি আদিবাসী সংস্কৃতি জানে না।’ এর আগে বাঁকুড়ায় গিয়ে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির সেকেন্ড কমান্ড অমিত শাহ বীরসা মুণ্ডার মূর্তি ভেবে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন এক আদিবাসী শিকারির গলায়। যদিও ওই মূর্তির নীচে রাখা ছিল বীরসার একটি প্রতিলিপি বাঁধানো ছবি। এবার লালগড়েও এসে আরেক বিপত্তি ঘটার অভিযোগ উঠেছে। লালগড়ের সভামঞ্চ থেকে বেরিয়ে পরিবর্তন যাত্রার বাস যখন লালগড় বিট অফিসের পাশে ঝিটকার রাস্তা মোড়ে সিধু-কানুর আবক্ষ মূর্তিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে নামেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। সঙ্গে ছিলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁরা দু’জনে জুতো খুলেই বেদিতে উঠে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। কিন্তু ওই সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক জওয়ান বুট পরে বেদির উপরে উঠে যায়। যে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়েছে। আর তা নিয়েই রাজনৈতিক পারদ চড়তে শুরু করেছে। এজন্য বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন,’আদিবাসী মানুষের ভাবাবেগে আঘাত দিয়ে আমাদের শহীদদেরকে অমর্যাদা ও অপমান করা হয়েছে। ঘোরতর অন্যায় ও লজ্জাজনক ব্যাপার। বিজেপির এই সমস্ত কাজকর্ম আদিবাসী মানুষ দেখছেন। আগামী দিনে তাঁরা বিজেপিকে যোগ্য জবাব দেবেন। যাঁরা আদিবাসী সংস্কৃতি জানে না তাঁদের দিয়ে সেই কাজ করালে যা হওয়ার তাই হচ্ছে।’ উল্টে বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলের ‘ভুল’ প্রচার বলে দাবি করা হচ্ছে। বিজেপির এসটি মোর্চার ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি প্রদীপ সোরেন বলেন,’শহীদ বেদিতে জেপি নাড্ডা, দিলীপ দা পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করতে উঠেছিলেন। নিরাপত্তা রক্ষী শহীদ বেদির নীচে ছিলেন। তৃণমূল ভুল প্রচার করছে। আমি নিজে ওখানে ছিলাম।’
ছবি : সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া সেই বিতর্কিত ছবি।