ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেস্ক :
মানব সেবায় জীব সেবা। সে কথায় ফের প্রমাণ করলেন ঝাড়গ্রামের ট্রাফিকের দুই সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জীব দাস ও দীপক শীট। বাঁকুড়া জেলার সারেঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নিবড়া গ্রামে বাড়ি বছর চল্লিশের মৃত্যুঞ্জয় জানার। সরকারি সার্টিফিকেট অনুযায়ী সত্তর শতাংশ প্রতিবন্ধী তিনি। বাড়িতে বত্রিশ বছরের স্ত্রী সাগরিকা জানা, ছ’বছরের কন্যা সুস্মিতা জানা ও তিন বছরের ছেলে সুমন জানা রয়েছে। শনিবার সকালে ঝাড়গ্রামের সুভাষ পার্ক মোড়ের সামনে চলছিল নেতাজির জন্মদিবস উদযাপন। তখন রাস্তায় দাঁড়িয়ে ট্রাফিক সামাল দিচ্ছিলেন দুই সিভিক ভলেন্টিয়ার দীপক শীট ও সঞ্জীব দাস। তাঁরা দেখেন এক প্রতিবন্ধী লোক তাঁদের কাছে এসে কিছু বলার চেষ্টা করছেন। তাঁর সমস্ত কাগজপত্র দেখে জানতে পারেন তাঁর বাড়ি সারেঙ্গায়। স্ত্রীর জন্য ওষুধ কিনতে ঝাড়গ্রামে এসেছেন। তারপর দুই সিভিক ভলেন্টিয়ার ঝাড়গ্রামের ট্রাফিক ওসি চন্দন সামন্তকে বিষয়টি জানায়। দুই সিভিক ভলেন্টিয়ার দীপক শীট ও সঞ্জীব দাস বলেন,‘ওঁর সমস্ত কাগজপত্র দেখে আমরা বুঝতে পারি উনার স্ত্রীর নিউরোসাইট্রিকের চিকিৎসা চলছে। সে জন্য ঝাড়গ্রামে ওষুধ কিনতে এসেছিলেন, কিন্তু তাঁর কাছে সেই টাকা নেই। বিষয়টি আমরা জানতে পেরে আমাদের ট্রাফিক ওসি স্যারকে বলি। উনি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে দুপুরে খাবারের ব্যবস্থার পাশাপাশি সাড়ে ছ’শো টাকার ওষুধ কিনে দেন। তারপর আমরা বাসে চাপিয়ে বাঁকুড়ার সারেঙ্গা পাঠিয়ে দিয়েছি।’