ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেস্ক : ‘বনপলাশি’র আত্মপ্রকাশ ঘটল সেরাম অডিটোরিয়ামে। গত শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতার শ্যামবাজারে সেরাম অডিটোরিয়ামে একটি মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে যাত্রা শুরু হল ‘বনপলাশি’র। শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক ত্রৈমাসিক পত্রিকা হল ‘বনপলাশি’। করোনার জেরে যখন স্তব্ধ পৃথিবী তখন নতুন সঞ্চারের আশা নিয়ে ‘বনপলাশি’র আত্মপ্রকাশ এক ঝলক খোলা হাওয়ার মত। তিন প্রজন্ম একই ছাতার তলায় এসেছেন সৃজনশীলতার হাত ধরে।
প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন বিশেষ অতিথি প্রখ্যাত নাট্যকার উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পত্রিকার উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্যবৃন্দ, বিশিষ্ট সাহিত্যিক শুভেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, কবি ও সাহিত্যিক প্রবীর ঘোষ রায়, কবি ও প্রাবন্ধিক সুব্রতা ঘোষ রায়, নাট্যকার সুদীপ সিংহ। ‘বনপলাশি’র অন্যতম উদ্যোক্তা তথা অধ্যাপক-কবি সুশান্ত রায় কর্মকার তাঁর স্বাগত ভাষণে বলেন,‘বনপলাশির হাত ধরে নবীন প্রজন্মের কবি, সাহিত্যিক ও শিল্পীরা তাঁদের স্বপ্নপূরণের কথা বলবেন।’ ছোটদের অমলতাস পাতার বিভাগীয় সম্পাদক সংবৃতা রায় কর্মকার ছোটদের কল্পনাপ্রবণ মনের ভাবনা প্রকাশের স্থান হিসেবে একে ব্যাখ্যা করেন। অনুষ্ঠানে অমলতাসের কচিকাঁচারা গান ও কবিতা পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ‘বনপলাশি’র সম্পাদক ভার্গবী বলেন,‘বনপলাশি এমন একটি জায়গা যেখানে তিনটি প্রজন্ম মিলেছে। আজকের সামগ্রিক অবক্ষয়ের মধ্যে দাঁড়িয়েও বনপলাশি সাহিত্য, শিল্প ও সংস্কৃতির পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করেছে। নবীন প্রজন্মের হাত ধরে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্মানীয় মানুষদের অভিভাবকত্বে সামনের সারিতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে বলেই আমার বিশ্বাস।’