ঝা়ডগ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেস্ক : লকডাউনে সারা বিশ্বে কাজ হারিয়েছেন প্রচুর মানুষ। তা থেকে বাদ নেই ভারতও। কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন দপ্তরে কর্মীদের অগ্রিম অবসরের পাশাপাশি কর্মী ছাটাই করেছে। বাদ যায়নি বেসরকারি সংস্থা গুলিও। কর্মসংস্থান হারিয়ে বেকারদের সংখ্যা বেড়েছে। তার ঠিক উল্টো পথে হেঁটে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে আরো মজবুত করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। রাজ্যের বিভিন্ন কলেজে অতিথি অধ্যাপকরা ক্লাস নিতেন নাম মাত্র বেতনে। মাসে কোথাও ৩ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা বেতনে অতিথি অধ্যাপকরা ক্লাস নেওয়া থেকে শুরু করে পরীক্ষার ডিউটি সবকিছুই করতেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলেজের সেই সমস্ত শিক্ষকদের একত্রিত করে স্যাক্ট ঘোষনা করেছেন। এমনকি ৬০ বছর পর্যন্ত কাজের স্থায়ীত্ব দিয়ে নিদির্ষ্ট সাম্মানিক কাঠামো তৈরি করেছেন। মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম জেলায় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এসেছিলেন দলীয় এক জনসভায় যোগ দিতে। আর সেখানে অতিথি অধ্যাপক সমিতি (WBGLA) ঝাড়গ্রাম জেলার পক্ষ থেকে ফ্লেক্স দিয়ে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। ফ্লেক্সে লেখা ছিল,‘অতিথি অধ্যাপকদের চাকুরির স্থায়ীকরণের জন্য বাংলার সংবেদনশীল মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীকে জানাই আন্তরিক প্রীতি, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’ রাজ্য সরকারের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ অতিথি অধ্যাপক সমিতির ঝাড়গ্রাম জেলার সভাপতি অমিতাভ পাহাড়ি বলেন,‘কোন মানুষ উপকার করলে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো আমাদের কর্তব্য। আমরাই শিক্ষক, জাতির মেরুদণ্ড, আমাদের থেকে তো সমাজ শিখবে। তাই মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর ভালো কাজের আমরা প্রশংসা করে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’ এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলা কমিটির সম্পাদক প্রদীপ দাস, আশিস মান্না, সুব্রত ভট্টাচার্য, অরিন্দম দাস, সানি সেন প্রমুখ সংগঠনের সদস্যরা।