ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেস্ক : হাসপাতাল চত্বরে চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনায় বুধবার থেকে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করল ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ। তিন অফিসার সহ ৫০ জন পুলিশ-সিভিক কর্মী মোতায়ন করা হয়েছে হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য। ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও করোনা হাসপাতালে এই নিরাপত্তা থাকবে। এদিন দুপুরে হাসপাতালে আসেন ঝাড়গ্রামের এসডিপিও অনিন্দ্যসুন্দর ভট্টাচার্য, ঝাড়গ্রাম থানার আইসি পলাশ চট্টোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালের সুপার ইন্দ্রনীল সরকার। সেখানে পুলিশ কর্মীদের হাসপাতালের নিরাপত্তা বিষয়ক কি কি করণীয় রয়েছে তা বুঝিয়ে দেন পুলিশ আধিকারিকরা। কয়েক সপ্তাহ আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঝাড়গ্রাম শহরের উত্তর বামদা এলাকার যুবক সত্যনারায়ন দাসের মৃত্যুকে ঘিরে রীতিমত উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল হাসপাতাল চত্বর। চিকিৎসককে মারধর ও রাজ্য সড়ক অবরোধ করেছিলেন মৃতের পরিজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা। চিকিৎসককে চড় মারার ঘটনায় হাসপাতালের সুপার ইন্দ্রনীল সরকার সহ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা হাসপাতালের বর্হিবিভাগের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে ধর্ণায় বসে হাসপাতালের পরিকাঠামো সহ নিরাপত্তার দাবি তুলেছিলেন। তারপরই জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, হাসপাতালের সুপার সহ ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ আধিকারিকরা হাসপাতাল চত্বরের নিরাপত্তা নিয়ে মিটিং করেন। জানা গিয়েছে, রোটেশন অনুযায়ী এক জন পুলিশ অফিসারের নেতৃত্বে মোট ১৫ জন পুলিশ কর্মী মোতায়ন থাকবে।