Breaking
23 Dec 2024, Mon

জঙ্গলমহলের রাজনীতিতে সৌজন্যের নজির, প্রণব মুখোপাধ্যায় ও সোমেন মিত্রের ঝাড়গ্রামে স্মরণসভায় বিভেদ ভুলে হাজির ‘সর্বদল’

ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেস্ক : জঙ্গলমহলের রাজনীতিতে সৌজন্যের নজির। প্রণব মুখোপাধ্যায় ও সোমেন মিত্রের ঝাড়গ্রামে স্মরণসভায় বিভেদ ভুলে হাজির ‘সর্বদল’। ঝাড়গ্রাম জেলা জাতীয় কংগ্রেসের উদ্যোগে শহরের অগ্রসেন ধর্মশালায় এই স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছিল। এদিনের সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন সিপিএমের ঝাড়গ্রাম জেলা সম্পাদক পুলিনবিহারী বাস্কে, সিপিএমের ঝাড়গ্রাম পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার, প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা দুর্গেশ মল্লদেব, সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক মনোরঞ্জন ঘোষ, বিজেপি নেতা মৃণাল ভুঁইয়া, ঝাড়খণ্ড পার্টি(নরেন) সভানেত্রী চুনিবালা হাঁসদা,ঝাড়খণ্ড পার্টি(আদিত্য গোষ্ঠী) অসিত খাটুয়া, স্বরাজ ইণ্ডিয়ার অশোক মাহাত, এআইএসএফের নেতা প্রতীক মৈত্র সহ একাধিক দলীয় নেতৃত্ব এবং জেলার বিশিষ্ট শিক্ষক ও ব্যক্তিবর্গ। সিপিএম নেতা পুলিনবিহারী বাস্কে বলেন,‘আমি যখন ঝাড়গ্রামের সাংসদ ছিলাম তখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। ঝাড়গ্রামের জন্য অনেক বিষয়ে উনার সঙ্গে দেখা করেছিলাম উনি তখন অনেক কাজ করে দিয়েছিলেন।’
প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা দুর্গেশ মল্লদেব বলেন,‘বাংলাকে পথ দেখিয়ে ছিলেন প্রণববাবু।’
সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক মনোরঞ্জন ঘোষ বলেন,‘একেবারে তৃণমূল স্তর পর্যন্ত সংগঠক ছিলেন সোমেন মিত্র। কলকাতায় তাঁকে ছোড়দা নামের ডাকের মধ্য দিয়ে বোঝা যায় মানুষের সঙ্গে তাঁর কি আত্মিক যোগ ছিল।’ বিজেপি নেতা মৃণাল ভুঁইয়া বলেন,‘সবাইকে নিয়ে চলতে পারতেন প্রণববাবু। সকলের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।’
ঝাড়খণ্ড পার্টি(নরেন) সভানেত্রী চুনিবালা হাঁসদা বলেন,‘আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর আমি নিঃস্ব হয়ে পড়ি। তখন থেকেই আমার খোঁজ-খবর রাখতেন সোমেন দা। আমার ছেলেমেয়েদের মানুষ করার জন্য বার বার বিধানসভা ভবনে দেখা হলেই বলতেন। সবচেয়ে কষ্টের এমন সময় প্রয়াত হলেন চোখের শেষ দেখাও দেখতে পেলাম না। আর প্রণববাবুকে হারিয়ে কার্যত অভিভাবককে হারিয়ে ফেলেছি। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয় সারা ভারতে জুড়ে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।’ স্বরাজ ইণ্ডিয়ার অশোক মাহাত বলেন,‘সংগঠক সোমেনবাবু আর কূটনৈতিক প্রণববাবু দু’জনকে হারানো আমাদের কাছে খুবই বেদনাদায়ক।’ বিশিষ্ট প্রাথমিক শিক্ষক সুমিত মণ্ডল বলেন,‘জাতীয় কংগ্রেসের এদিনের স্মরণসভা শুধু নিজেদের মধ্যে সীমাবব্ধ রাখেননি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে যেভাবে ছড়িয়ে দিয়েছেন এটা দেখে খুব ভালো লাগল।’

Developed by