ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেস্ক : ঝাড়গ্রাম পুর-প্রশাসকের উদ্যোগে শরৎ আলোয় উদ্ভাসিত হতেই মনে পড়ল শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক দলের! ১৯৭৬ সালে শরৎচন্দ্রের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে স্থানীয় নীলকানন মিষ্ঠান্ন ভাণ্ডারের দানে তৎকালীন মহকুমা শাসক শ্যামাপদ নন্দীর প্রচেষ্টায় পূর্ত দপ্তরের জায়গায় মূর্তিটি বসানো হয়েছিল ঝাড়গ্রাম শহরে শিব মন্দির মোড় সংলগ্ন জুবলি মার্কেটে প্রবেশের মুখে কোর্ট রোডের ধারে রয়েছে কথাশিল্পীর আবক্ষ মূর্তিটি। পরবর্তী কালে ১৯৮৩ সালে তৎকালীন অবিভক্ত মেদিনীপুরের জেলাশাসক দীপক ঘোষ মূর্তিটির আনুষ্ঠানিক আবরণ উন্মোচন করেছিলেন। যখন মূর্তিটি বসেছিল, তখন ঝাড়গ্রাম ছিল পঞ্চায়েত এলাকা। ১৯৮২ সালে পুর শহর হয় ঝাড়গ্রাম। মূর্তিটি পরিষ্কার করা হত না। সেখানে হয়নি কোনও বার্ষিক স্মরণ-অনুষ্ঠান। মূর্তির চারপাশে জবর দখল করে থাকতেন হকাররা। যার ফলে মূর্তিটি ঢাকা পড়ে গিয়েছিল। পুরসভার বাম আমলে মূর্তিটি সংস্কার থেকে জন্মদিন পালনের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয় নি। দীর্ঘদিনের বাম আমলের পুরসভা ২০১৩ সালে তৃণমূল দখল করার পর পাঁচটি বছর পেরিয়ে গেলেও সংস্কার তো দূরের কথা সামান্যতম মালা জুটেনি। বর্তমানে পুরসভায় প্রশাসনিক বোর্ড রয়েছে। ঝাড়গ্রাম পুরসভার হলেন প্রশাসক তথা মহকুমা শাসক সুবর্ণ রায়ের উদ্যোগেই কথাশিল্পীর হাল ফিরেছে। মূর্তির সামনে জোর করে দখল থাকা হকারদের সরানো হয়েছে। মূর্তিটিকে রং করে মাথার উপর শেড করে দেওয়া হয়েছে। মূর্তিটির চারিপাশে টাইলস বসানো হয়েছে। এছাড়াও চারিপাশে লোহার রেলিং দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। বাহারি রংয়ের আলো লাগানো হয়েছে। ভিতরে ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে। আজ সেই শরৎচন্দ্রকে মনে পড়েছে ঝাড়গ্রামের রাজনৈতিক দল গুলির। এদিন সকালে প্রথমে শহর তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে আবক্ষ মূর্তিতে মালা দিয়ে আসেন। বিকেলে সিপিএমের পক্ষ থেকে আবক্ষ মূর্তিতে মালা দিয়ে আসেন। পরে সন্ধ্যায় বিজেপি আবক্ষ মূর্তিতে মালা দিয়ে আসেন। যা নিয়ে শহরবাসীর মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠছে, হঠাৎ এবারে কেন মনে পড়ল শরৎচন্দ্রকে? আড়ালে আবডালে নাগরিকরা বলছেন,‘ভোট বড় বালাই! সামনে ভোট তাই এত হিড়িক রাজনৈতিক দলের।’