ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেস্ক : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, ভারত-চিন, ভারত-পাকিস্থান যুদ্ধে অংশ নেওয়া ঝাড়গ্রামের ৯৮ বছরের অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক রমেশচন্দ্র দে প্রয়াত হলেন। রমেশবাবুর আদি বাড়ি গোপীবল্লভপুর ১ ব্লকের শুকাআমড়াশোল গ্রামে। যদিও আশির দশকে তিনি ঝাড়গ্রাম শহরের চলে আসেন। বর্তমানে তিনি থাকতেন ঝাড়গ্রাম শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের রঘুনাথপুরের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মোড় সংলগ্ন এলাকায়। তিনি বাধ্যর্কজনিত রোগে আক্রান্ত ছিলেন। শুক্রবার জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বাড়িতে রয়েছেন তাঁর অসুস্থ স্ত্রী ভারতীরানী দে এবং তিন ছেলে, বৌমা, নাতিরা। রমেশবাবুর তিন ছেলের মধ্যে বড় ছেলে তারাশঙ্কর দে গোপীবল্লভপুরের নয়াবসান হাইস্কুলে শিক্ষকতা থেকে অবসর নিয়েছেন। মেজ ছেলে উমাশঙ্কর দে ভারতীয় সেনা বাহিনী থেকে অবসর নিয়েছেন। ছোট ছেলে গৌরীশঙ্কর দে বিএসএফও জওয়ান থেকে অবসর নিয়ে বাড়িতে রয়েছেন। রমেশবাবুর ছোট ছেলে অবসরপ্রাপ্ত বিএসএফ জওয়ান গৌরীশঙ্কর দে বলেন,‘বাবা ১৯৪২ সালে বিট্রিশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৪৪ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তারপর ভারতীয় সেনাবাহিনীর হয়ে ১৯৬২ সালে ভারত-চিন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তারপর ১৯৭০ সালে সেনাবাহিনী থেকে অবসর নিয়ে বিএসএফে যোগ দিয়ে ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্থান যুদ্ধেও অংশ নিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকারের পেনশনের পাশাপাশি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মাসিক ভাতাও পেতেন।’ ভারতীয় প্রাক্তন সৈনিক সঙ্ঘের ঝাড়গ্রাম জেলার সম্পাদক দিলীপকুমার শতপথী তাঁর বাড়িতে গিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে আসেন।