ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেস্ক : গল্পটা ফেঁদেছিল যুবকটি। কিন্তু চিত্রনাট্যে হাতটা বড্ড কাঁচা। আর তাতেই শেষ রক্ষা হল না! পুলিশের কাছে ধরা পড়ে গেল তার কাঁচা হাতের চিত্রনাট্য। পুলিশি জেরায় ‘কবুল’ করল খড়গপুর শহরের যুবক সম্রাট মাইতি। ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠোর বলেন,‘পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরের চারটি ছেলে ওখানে বেড়াতে গিয়েছিল। তার মধ্যে একটি ছেলের মোবাইল হারিয়ে গিয়েছিল। বাড়ির চাপের জন্য ওই ছেলেটি গল্প ফেঁদেছিল। মাওবাদী সংক্রান্ত কোন ঘটনা নেই। ওই ছেলেটি জেরায় ভুল স্বীকার করেছে।’ ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার ৩ নভেম্বর। ওই দিন খড়্গপুর শহর থেকে বেলপাহাড়ি ঢাঙিকুসুমে ঘুরতে গিয়েছিলেন সম্রাট মাইতি, বিশ্বরূপ ঘোষ, সুরজিত রায় ও অর্কদীপ পাল নামে চার যুবক। ওই চার জনের মধ্যে একজন সম্রাট মাইতি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন ‘ঢাঙ্গিকুসুম গ্রামে সশস্ত্র মাওবাদীরা’ তাদের ‘মুখোমুখি’ হয়ে মোবাইল ছাড়িয়ে নেয়। বিষয়টি জানাজানি হতেই রীতিমতো আলোড়ন পড়ে যায় ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পুলিশ মহলে। বৃহস্পতিবার রাতে খড়গপুর থানায় জিডি করেন ওই যুবক। গোয়েন্দা কর্তারাও চিন্তায় পড়েন এহেন অভিযোগ শুনেই। গোটা বিষয়টি নিয়ে সরজমিনে তদন্ত করার জন্য নবান্ন থেকে নির্দেশ আসে। শান্ত জঙ্গলমহলে এরকম ঘটনা শুনে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করেন রাজ্য পুলিশ। শনিবার রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র স্বয়ং ঝাড়গ্রামে এসে পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং ঢাঙিকুসুমের ওই এলাকাও পরিদর্শণ করেন। তারপরে ঢাঙিকুসুমে দাঁড়িয়ে ডিজি বীরেন্দ্র বলেন,‘ঢাঙিকুসুমে একটা অভিযোগের ভিত্তিতে জায়গাটি দেখতে এসেছি। জেলায় এদিন এলডাব্লু এরিয়া নিয়ে অভ্যন্তরীন রিভিউ মিটিং করা হয়েছে।’