ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেস্ক : ছবির মত স্কুল সাজিয়েছেন। করোনার আবহে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করেছেন। আর এই দুই কাজেই তাঁকে স্বীকৃতি এনে দিল। রাজ্য সরকার তাঁকে এবছর
ঝাড়গ্রাম জেলায় একমাত্র শিক্ষারত্ন পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে। তিনি হলেন আঠান্ন বছরের বাণীপদ পাত্র।গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকের ধানশোল আদিবাসী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক।
১৯৮২ সালে এই স্কুলেই তিনি সহ-শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি প্রধান শিক্ষক হন। প্রধান শিক্ষক হওয়ার পরই স্কুলের পরিকাঠামো সহ নানা উন্নয়নমূলক কাজে মনোনিবেশ করেন তিনি। ১৯৯৯ সালে স্কুলটি মাধ্যমিক স্তরে উন্নীত হয়। ২০১১ সালে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে উন্নীত হয়। ২০১৩ সাল থেকে স্কুলে সাঁওতালি মাধ্যমে পঠন-পাঠন শুরু হয়েছে। বর্তমানে স্কুলটিতে বাংলা ও সাঁওতালি দু’টি মাধ্যমে পঠন-পাঠন হয়। এবছর ওই স্কুল থেকেই সাঁওতালি মাধ্যমে ১৩ জন মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। সবাই পাশ করেছে। এমনকি সাঁওতালি মাধ্যমে ১৫ জন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। তারমধ্যে ১৪ জন পাশ করেছে। এবারের শিক্ষারত্নের জন্য করোনার আবহে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়েছে বলে শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর। করোনা পরিস্থিতিতে বানীপদবাবু গোপীবল্লভপুরের ওড়িশা সীমান্তবর্তী কেন্দুগাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে গিয়ে করোনা নিয়ে মানুষজনকে সচেতন করেছেন। এছাড়াও আদিবাসী অধ্যুষিত ওই এলাকার পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পড়াশুনার খোঁজ খবর নিতেন। এমনকি পড়ুয়াদের বাড়ি গিয়ে পড়াতেন। শিক্ষারত্ন মনোনীত হওয়ার পর প্রধান শিক্ষক বাণীপদ পাত্র বলেন,’আর দু’বছর আছে আমার অবসর গ্রহণের। এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হওয়ায় আরো দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। আদিবাসী অধ্যুষিত ওই এলাকায় শিক্ষার প্রসার নিয়ে আগামী দিনেও কাজ করে যাব।’ ঝাড়গ্রাম জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় বলেন,’জেলা থেকে দু’জন শিক্ষকের নাম রাজ্যে পাঠানো হয়েছিল। তারমধ্যে বাণীপদবাবুই একমাত্র শিক্ষারত্ন পুরস্কারের জন্য এবছর মনোনীত হয়েছেন।’