ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেস্ক : লালগড়ে শবর মহিলাকে গণধর্ষণের ঘটনায় বিজেপির বুথ সহ-সভাপতি সহ গ্রেপ্তার দুই। ধৃতেরা হলেন পতিত ভুইঁয়া ওরফে গদা (২২) ও রাজু ভুইঁয়া(১৯)। এদের বাড়ি লালগড় ব্লকের পূর্ণাপানি গ্রামে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে,‘পতিত ভুইঁয়া পূর্ণাপানি গ্রামের বিজেপির বুথ সহ-সভাপতি এবং রাজু এলাকায় সক্রিয় কর্মী।’ যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে ধৃতরা পার্টির সঙ্গে ‘যুক্ত নয়’ বলে জানানো হয়েছে। লালগড় থানায় শবর মহিলা লিখিত জানিয়েছেন,‘২১ আগস্ট রাত ন’টার সময়ে আমি যখন আমার বাড়িতে বাড়ির কাজ করছিলাম। পূর্ণাপানি গ্রামের পতিত ভুইঁয়া ডাকনাম গদা ও রাজু ভুইঁয়া দু’জনে আমাকে জোর করে টেনে আমার বাড়ির পিছনে করমশোল গ্রামের সন্তোষ মাহাতোর পটাশ গাছের বাগানে নিয়ে যায়। দু’জনে মিলে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক আমাকে ধর্ষণ করে। এরা কণ্ডোম ব্যবহার করে এবং ওখানে কণ্ডোম ফেলে দেয়। ও আমাকে ওইখানেই ফেলে রেখে ওরা দু’জন পালিয়ে যায়।’ শুক্রবার গভীর রাতে লালগড় থানায় বিষয়টি লিখিত ভাবে জানায় শবর মহিলা। রাতেই লালগড় থানার পুলিশ দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ ধৃতদের বিরুদ্ধে ৩৭৬(ডি) অর্থাৎ গণধর্ষণ ধারায় মামলা রুজু করে শনিবার ঝাড়গ্রামের সিজেএম ভারপ্রাপ্ত বিচারক সমরজিৎ রায়ের এজলাসে তোলেন। অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী কৌশিক সিনহা জামিনের আবেদন করে আদালতে বলেন,‘আঠাশ বছর বয়স্ক বিবাহিত মহিলা লালগড় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে মেডিক্যাল টেস্ট করতে রাজি হননি বলে মেডিক্যাল অফিসার জানিয়েছেন। মামলার তদন্তকারী অফিসার শবর মহিলা ও দুই যুবকের পরনে থাকা সমস্ত কাপড় ও জামা-প্যান্ট বাজেয়াপ্ত করেছে। কিন্তু সেখানে কাপড় ছেঁড়া বা কাপড়ে মাটিও লেগে থাকার কথা উল্লেখ নেই। জোরপূর্বক ধর্ষণ করে থাকলে কাপড় ছেঁড়া বা কাপড়ে মাটি লেগে থাকত। দুই যুবককে ফাঁসানোর জন্য মহিলা মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।’ বিচারক সমরজিৎ রায় ধৃত বিজেপি নেতা সহ দু’জনের জামিন খারিজ করে ২ দিনের পুলিশ হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
ছবিটি – প্রতিকি