ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেস্ক : জাতীয় শিক্ষানীতি-২০২০ কড়া সমালোচনা করল নিখিলবঙ্গ রাজ্য সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতি। বিষয়টি নিয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও পশ্চিমবঙ্গের রিভিউ কমিটির কাছে লিখিত আকারে পাঠিয়েছেন সম্পাদক অধ্যাপক সুশান্ত রায় কর্মকার। এক প্রেস বিবৃতিতে অধ্যাপক সুশান্ত রায় কর্মকার জানিয়েছেন,‘ভারতে শিক্ষা কেন্দ্র ও রাজ্যের যুগ্ম তালিকাভুক্ত। কিন্তু রাজ্যের মতামত সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে কেন্দ্রের এ জাতীয় শিক্ষানীতি গঠন যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী। দেশের শিক্ষামন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে দেশের মোট জিডিপির ৬ শতাংশ শিক্ষা ক্ষেত্রে খরচ করবে সরকার। কিন্তু পূর্ববর্তী অর্থ বর্ষগুলিতে শিক্ষাক্ষেত্রে খরচের চিত্রটা একেবারেই আশাব্যঞ্জক নয়। বছরের পর বছর ধরে শিক্ষা ক্ষেত্রে খরচের পরিমাণ ক্রমশ নিম্নগামী। ইউ.জি.সি এবং এ.আই.সি.টি কে বিলোপ করে হায়ার এডুকেশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া গঠন শিক্ষার কেন্দ্রীভূতি করণের প্রচেষ্টারই নামান্তর। মানব সম্পদ উণ্ণয়ন মন্ত্রকের নাম পরিবর্তন করে শিক্ষামন্ত্রক করার মধ্যেও সেই একই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। নতুন শিক্ষানীতির ফলে উচ্চশিক্ষার খরচ লাগামছাড়া হলে তা বিভিন্ন শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীর মধ্যে এক আর্থ সামাজিক বৈষম্য সৃষ্টি করবে। সরকার গবেষণার উপর গুরুত্ব আরোপের কথা বলছে সেখানে এম.ফিল তুলে দেওয়াটা হঠকারী সিদ্ধান্ত ছাড়া আর কিছু নয়।’