Breaking
1 Nov 2024, Fri

চলতি বছরে ঝাড়গ্রাম জেলার ২৫টি লোধা-শবর এলাকায় ‘পুষ্টি বাগান’ তৈরি করবে প্রশাসন

ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেস্ক: চলতি বছরে ঝাড়গ্রাম জেলার ২৫টি লোধা-শবর এলাকায় ‘পুষ্টি বাগান’ তৈরি করবে প্রশাসন। সোমবার গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকের ছোটঝাউড়ি গ্রামে পুষ্টি বাগানের সূচণা করেন জেলাশাসক আয়েষা রানি এ। উপস্থিত ছিলেন গোপীবল্লভপুরের বিডিও দেবজ্যোতি পাত্র। এদিন ছোটঝাউড়ি গ্রামের ৯৫টি লোধা-শবর পরিবারের হাতে মোট দু’হাজার ফলের চারা তুলে দেওয়া হয়।

ঝাড়গ্রাম জেলার গত দু’বছর ধরে লোধা-শবরদের সার্বিক উন্নয়নে জোর দিয়েছে প্রশাসন। বাড়ি তৈরির পাশাপাশি একশো দিনের কাজে লোধা-শবর মানুষদের জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ওই সমস্ত এলাকায় পরিকাঠামোগত উন্নয়ন গড়ে তোলা হচ্ছে। এবার লোধা-শবর মানুষদের শারীরিক পুষ্টির জন্য এই পুষ্টির বাগানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। জানা গিয়েছে, জেলার বেলিয়াবেড়া ব্লক ছাড়া সাতটি ব্লকে এই পুষ্টি বাগান গড়ে তোলা হবে। ঝাড়গ্রাম ব্লকের ডালকাটি, জারালাটা, আগুইবনি, ঠাকুরথান গ্রামে, জামবনী ব্লকের খাটখুরা, যুগিবাঁধ, মুড়াকটি-খড়্গপুর, বড়শোল, বাবুইদা গ্রামে সাঁকরাইল ব্লকের পাতরা, কুলটিকরি গ্রামে, নয়াগ্রাম ব্লকের বড়খাঁকড়ি, পাতিনা, মলম, নয়াগ্রামে, লালগড় ব্লকের পূর্নাপানি, দহিজুড়ি ও ভূমিজ-ধানশোলা, বেলপাহাড়ি ব্লকের রিমরাডাঙা, পূর্নাপানি, চিরাকুঠি, ডাকাই, আমলাশোল, শুশনিজুবি গ্রামে, গোপীবল্লভপুর -১ ব্লকের ছোটঝাউড়ি গ্রামে এই পুষ্টি বাগান গড়ে তুলবে প্রশাসন। প্রতিটি পরিবারের ফাঁকা জমি ও বাড়ি উঠোনে এই গাছ লাগানো হচ্ছে। এই গাছ গুলির তিন বছর পর্যন্ত সরকারিভাবে রক্ষনাবেক্ষণ করা হবে। গাছগুলির পরিচর্যা করবে উপভোক্তারা। তাঁদেরকে একশো দিনের কাজের মাধ্যমে টাকা দেওয়া হবে। গাছগুলির জন্য প্রয়োজনীয় সার, কীটনাশক দেবে প্রশাসন। উপভোক্তারা গাছগুলি কিভাবে পরিচর্যা করবেন সেজন্য জেলা উদ্যানপালন দপ্তর ট্রেনিং দেবে উপভোক্তাদের। তিন বছর পরে ওই গাছগুলির মালিকানা হবে উপভোক্তারা। এই গাছগুলিতে দুই থেকে তিন বছরের মাধ্যমে ফলন হবে। তবে গাছে কোন রোগ ধরলে তার সহায়তা করবে প্রশাসন। জেলাশাসক আয়েষা রানি এ বলেন, লোধা-শবর এলাকায় এ বছরের মধ্যে পুষ্টি বাগান তৈরি করা হবে। সেখানে ফল গাছের উপর জোর দিচ্ছি। তারপর কিচেন গার্ডেনের উপর জোর দেওয়া হবে। প্রত্যেক পরিবারের যা জায়গায় রয়েছে, সেখানে করা হচ্ছে। শারীরিক পুষ্টির পাশাপাশি আয়ের ব্যবস্থা হবে। এই ফলগাছ থেকে নিজেরা ফল খেতে পারবেন ও বিক্রি করে নিজেরা স্ব-নির্ভর হতে পারবেন।

Developed by