Breaking
25 Dec 2024, Wed

প্রশাসনকে ঝাড়গ্রাম বাজারের সুষ্ঠু বাস্তবিক বিকল্প পথের সন্ধান দিচ্ছে ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ

ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেস্ক : করোনা সংক্রমন এড়াতে তৎপর প্রশাসন। আর সদা সতর্ক ঝাড়গ্রাম জেলার একমাত্র সর্বাধিক প্রচারিত নিউজ পোর্টাল ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশও। বাজার চত্বর এলাকায় ভিড় এড়ানোয় করোনা সংক্রমন ঠেকানোর একমাত্র পথ। দুই কাপড় ব্যবসায়ীর করোনো পজেটিভ ধরা পড়ার পর গত ৪ আগস্ট থেকে ঝাড়গ্রাম বাজার এলাকায় সাতদিন কন্টেইমেন্ট জোন ঘোষনা করে প্রশাসন। আজ, সোমবার মধ্যরাতে কন্টেইমেন্ট জোনের সময়সীমা শেষ হচ্ছে। কিন্তু এর মাঝে সাত দিন পেরিয়ে গেলেও বাজার কোথায় বসানো হবে সেই সমস্যার সমাধান এখনও হয়নি। প্রশাসন ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে বার বার আলোচনা হলেও ঝাড়গ্রাম বাজারের সুষ্ঠু বাস্তবিক বিকল্প কোন সমাধান বের হয়ে আসেনি। এরই মাঝে ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ঝাড়গ্রাম শহরের সব্জী, মাছ ও ফল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের ব্যবসা ও সমস্যার কথা জানতে পেরেছে। শুধু সমস্যা নয় কিভাবে সেই সমস্যার সমাধানের পথও খুঁজেছে ব্যবসায়ী থেকে শহরবাসীদের সঙ্গে কথা বলে। আলাদা আলাদা করে সব্জী, মাছ ও ফল ব্যবসায়ীদের সেই বক্তব্য আমরা এখানে তুলে ধরছি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সমাধান করার জন্য। ঝাড়গ্রাম শহরের ১৮টি ওয়ার্ডে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ২৮টি ফাঁকা জায়গা বা মাঠ রয়েছে। ভিড় এড়াতে ঝাড়গ্রাম শহরের পাঁচমাথা মোড় থেকে সুভাষ পার্ক মোড়, রেল স্টেশন হয়ে সব্জী বাজারের মধ্য দিয়ে উড়ালপুল পর্যন্ত যে সব্জী ও ফলের স্থায়ী খুচরো দোকান এবং ভেতরে যতগুলি স্থায়ী খুচরো মাছ দোকান রয়েছে সে গুলি রেখে পাইকারী ও ফুটপাথে বসা দোকানগুলিকে অন্যত্র সরিয়ে দিতে হবে। তাহলে স্থায়ী দোকান গুলির ভিড় এড়ানো সম্ভব হবে। পাশাপাশি ফুটপাথে বসে সব্জী, মাছ ও ফল বিক্রেতাদের শহরের ১৮টি ওয়ার্ডের দুটি ওয়ার্ড মিলে একটি করে জনবসতি এলাকা বাদে ৯টি ফাঁকা জায়গায়, মাঠ বা প্রান্তিক স্থানে বসার জন্য অস্থায়ী ভাবে সকাল ৭টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বসানোর ব্যবস্থা করলে ফুটপাথের বিক্রেতাদেরও রুটিরুজির সংস্থান হবে।
ঝাড়গ্রামের সব্জী বাজারের পাইকারী বিক্রেতাদের ট্যাক্সিস্ট্যাণ্ড অথবা কিষাণমাণ্ডিতে নিয়ে গেলে সকালের সবচেয়ে বেশি ভিড় এড়ানো যাবে। মাছের পাইকারী ব্যবসা লোকাল বোর্ড পুকুরের পাশে যেভাবে করা হচ্ছিল সেখানে করা হলে মাছ বাজারের ভেতরের ভিড়ও এড়ানো যাবে। আর রাস্তার দু’পাশে যে স্থায়ী ফল দোকান গুলি রয়েছে সেগুলি রেখে বাকিদের সব্জী ও মাছ যে সব স্থানে বসানো হবে সেখানে বসালে ভিড় এড়ানো যাবে। খুচরো সব্জী, মাছ ও ফল ব্যবসায়ীরা কিষাণমাণ্ডিতে যেতে চাইছেন না তার প্রধান কারণ সেখানে দোকানের জিনিস পত্র রাখার তেমন কোন জায়গা নেই। যার ফলে বিক্রি না হওয়া মাল কোথায় সুরক্ষিত ভাবে রাখবেন তাঁরা। প্রতি সপ্তাহে একদিন করে সব্জী, মাছ ও ফল মার্কেট বন্ধ রেখে স্যানিটাজেশন করাও জরুরি। পাশাপাশি ঝাড়গ্রাম শহরের সবচেয়ে ঘিঞ্জি এলাকা জুবলি মার্কেট। এর ভেতরে রয়েছে কাপড়, কাঁসা-পিতলের, জুতো, সোনা, দশকর্মা ভাণ্ডার, ভূষিমাল, স্টেশনারী, হার্ডওয়ার, মাটির হাঁড়ি দোকান। প্রতি মঙ্গলবার জুবলি মার্কেট বন্ধ থাকে। তাই ওই দিন প্রতি সপ্তাহে স্যানিটাজেশন করা জরুরি। পাশাপাশি ভিড় এড়াতে দোকান গুলিকে রোটেশন অনুযায়ী তিনদিন করে খোলার ব্যবস্থা করলে বাজারের মধ্যে ভিড় সহজেই এড়ানো যাবে। কারণ মানুষের প্রতিদিন কাপড় বা ভূষিমাল কিনতে হয় না। সপ্তাহে নিদির্ষ্ট দিনে কিনলে তা অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। যেমন- বুধবার, বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ভূষিমাল দোকান, স্টেশনারী দোকান, হার্ডওয়ার দোকান, মাটির হাঁড়ি দোকান খোলা রাখা। শনিবার, রবিবার, সোমবার কাপড় দোকান, কাঁসা-পিতলের দোকান, জুতো দোকান, সোনা দোকান, দশকর্মা ভাণ্ডার খোলা রাখলে বাজারের মধ্যে ভিড় সহজেই এড়ানো যাবে। এর ফলে ব্যবসায়ীদেরও যেমন বিক্রি-বাটা বন্ধ হবে না তেমনি সাধারণ মানুষজনও তার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারবেন। এই মুহূর্তে যে সব জায়গা গুলিতে কন্টেনমেন্ট জোনের জন্য বাঁশ দিয়ে এন্ট্রি পয়েন্ট গুলি ঘেরা রয়েছে সেই জায়গা গুলিতে সিভিক মোতায়েন করে লকডাউনের সময় যেমন ভাবে পুলিশ মানুষজনকে বাজারে ঢোকাচ্ছিলেন সেই ভাবে প্রতিটি এন্ট্রি পয়েন্টে ১৫ জন করে বাজারে ঢোকানোর ব্যবস্থা করলে ভিড় এড়ানো যাবে। মূলত সকল মানুষই ভিড় এড়িয়ে বাজার করতে পারবেন এবং সংক্রমন ঠেকানো যাবে।

Developed by