Breaking
1 Nov 2024, Fri

জেলায় সংবাদমাধ্যমকে বক্তব্য দেওয়ার এক্তিয়ার কাদের হাতে রাখল তৃণমূল?

ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেস্ক : শাসকের ক্ষমতায় তৃণমূল। কিন্তু তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সর্বজনবিদিত। এবার তাতে রাশ টানতেই নতুন নিয়ম লাগু করল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এর জেরে যেমন দলের ছোট থেকে বড় নেতাদের বেফাঁস মন্তব্যে লাগাম পড়ল তেমনি দলের পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার তালিকা প্রকাশ হওয়ায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসার থেকে বিরত রাখা যাবে। পুরো বিষয়টিতে যে প্রশান্ত কিশোরের ‘নির্দেশ’ মত তা রাজনৈতিক মহলের পর্যবেক্ষণ। ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে শাসক দল তৃণমূল। এক্ষেত্রে গত ২১ জুলাইয়ের দু’দিন পর ভার্চুয়াল সভা করে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একেবারে সাংগঠনিক কাঠামোর বদল করে এক নতুন বার্তা দিয়েছিলেন। উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ব্যক্তি নির্ভর ‘পর্যবেক্ষক’ পদটি। উল্টে সাংগঠনিক কাঠামোয় কো-অর্ডিনেটর পদের সৃষ্টি করা হয়েছে। মূলত জেলার নেতৃত্বকে সামনে এনে জেলার মধ্যে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তৈরি করা। যা আগে ছিল না তৃণমূলের মধ্যে। সেই তালিকা প্রকাশ হতেই জেলায় নেতানেত্রীদের মধ্যে মন কষাকষি শুরু হয়। আর সেই মন কষাকষি দূরে রাখতে ‘অভিমানী’ নেতা-নেত্রী এবং বিজেপির দিকে ‘পা’ বাড়ানো দলের নেতা-নেত্রীদের রুখতে বুথ কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শাসকদল তৃণমূল। কিন্তু দলের পক্ষ থেকে কারা বক্তব্য রাখবেন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে? সে বিষয়েও আগে কোন সুনির্দিষ্ট নাম ছিল না। অঞ্চল, ব্লক, জেলা সভাপতি-সম্পাদক সকলেই যে যার মতন করে বক্তব্য রাখতেন। এবার সেক্ষেত্রেও লাগাম টানল তৃণমূল। জেলায় তৈরি করা হল মুখপাত্রের পদ। সেই সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হল কারা কারা দলের তরফে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। গত বৃহস্পতিবার দলের তরফে ট্যুইট ও প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সে কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে পরিস্কার লেখা রয়েছে, যে কোন জেলায় দলের তরফে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে একমাত্র কথা বলতে পারবেন জেলার তৃণমূলের চেয়ারম্যান, সভাপতি, কো-অর্ডিনেটর এবং মুখপাত্ররা। ঝাড়গ্রাম জেলার ক্ষেত্রে তৃণমূলের চেয়ারম্যান বীরবাহা সরেন টুডু, জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মু, দুই কো-অর্ডিনেটর উজ্জ্বল দত্ত, অজিত মাহাত এবং দুই মুখপাত্র উমা সরেন ও সুব্রত সাহারা কেবলমাত্র সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে ‘অফিসিয়ালি’ কথা বলতে পারবেন।

Developed by