ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেস্ক : রাজ্যের মধ্যে প্রথম ঝাড়গ্রাম জেলায় সাঁওতালি মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু হচ্ছে। লালগড় ব্লকের রামগড় ক্যাম্পাসে ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন (ডিএলএড) কোর্স চালু হচ্ছে। চলতি শিক্ষাবর্ষে সাঁওতালি মাধ্যমের পড়ুয়ারা ডিএলএড ট্রেনিং-এ পড়ুয়ারা ভর্তি হতে পারবেন। এর আসন সংখ্যা রয়েছে ৫০টি। এরফলে সাঁওতালি পড়ুয়ারা উপকৃত হবেন। গত বৃহস্পতিবার এই কলেজের ভর্তির জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে শিক্ষা দপ্তর। আগামী ১০ আগষ্ট থেকে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে। গত বছর ১৫ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি এই কলেজের অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর। তারপরই গত ফেব্রুয়ারি মাসে সাঁওতালি ভাষায় ডিএলএড কোর্সের বইপত্র কিভাবে তৈরি করা হবে সেজন্য তিনদিনের কর্মশালা হয়েছিল রামগড় ক্যাম্পাসে। ঝাড়গ্রাম ডিস্ট্রিক্ট ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং (ডিআইইটি) সেন্টারের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস রামগড়ে হয়েছে শুধুমাত্র আদিবাসী পড়ুয়াদের জন্য। এজন্য ১২ জন অতিথি শিক্ষক নিয়োগ করেছে সরকার। এজন্য ১৩টি বই সাঁওতালি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। তবে লকডাউনের জন্য এখনও প্রিন্টিং-এর কাজ শুরু হয় নি। সাঁওতাল সম্প্রদায়ের শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষাব্রতী মিলিয়ে ৩৫ জন বইগুলি লিখছেন। বাংলা মাধ্যম ডিএলএড কোর্সের বইগুলি আদিবাসী সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কিভাবে অনুবাদ করা হবে সে ব্যাপারে তাঁদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন স্টেট কাউন্সিল অফ এডুকেশন্যাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং-এর (এসসিইআরটি) অধিকর্তা, এসসিইআরটি-এর কর্তারা। এবার সারা রাজ্যে ১৮৭ জন পড়ুয়া সাঁওতালি মাধ্যমে উচ্চমাধ্যমিক দিয়েছিল। এরমধ্যে ঝাড়গ্রাম জেলায় ৩৪ জন পড়ুয়া সাঁওতালি মাধ্যমে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। এরমধ্যে মাত্র ২৯ জন পড়ুয়া পাশ করেছে। যারফলে উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ সাঁওতালি মাধ্যমের পড়ুয়ারা এই কোর্সে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েশা রানি এ বলেন,’চলতি শিক্ষাবর্ষে সাঁওতালি মাধ্যমে ডিএলএড কোর্স চালু হবে। শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ মতো আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি।’
পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ ও শিক্ষা পরিষদের চেয়ারম্যান রবীন টুডু বলেন, ‘আমারা ২০১৫ সাল থেকে সাঁওতালি মাধ্যমে শিক্ষা নিয়ে আন্দোলন করেছি। বিভিন্ন আন্দোলনের পর আমাদের অনেক দাবি পূরণ করেছে সরকার। ডিএলএড কলেজ চালু করে স্বপ্ন পূরণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এতে আমরা খুবই খুশি!’