ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেস্ক : কিছুদিন আগেই বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, করোনা ভাইরাস বায়ুবাহিত রোগ। আর তারপর থেকেই নতুন করে আশঙ্কা দানা বেঁধেছে বিশ্ববাসীর মধ্যে। এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চিফ সাইন্টিস্ট সৌমা স্বামীনাথন। একটি সাক্ষাৎকারে সৌমা জানিয়েছেন, করোনা বায়ুবাহিত জীবাণু হওয়ার কথা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে করোনা বাতাসে ভেসে থাকতে সক্ষম। এমনকী তা সংক্রমণও ঘটাতে পারে। কিন্তু সেই সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। এর পিছনে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চিফ সায়েন্টিস্ট। তিনি বলেছেন, মানুষ যখন কথা বলে বা শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়, তখন মুখ থেকে জলের ফোঁটা নির্গত হয়। এগুলি আকার হয় নানা রকমের। কোনটা ছোট, আবার কোনটা বড়। যে ফোঁটাগুলি বড় হয়, সেগুলো দ্রুত মাটিতে পড়ে যায়। সর্বাধিক ১ থেকে ২ মিটার পর্যন্ত এই ফোঁটাগুলো যেতে পারে। সেই কারণেই সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার কথা বারবার বলা হচ্ছে। তিনি বলেন, ছোট এই ফোঁটাগুলি আকারে ৫ মাইক্রনের মতো হয়। এদেরকে বলে এরোসল। এই ফোঁটাগুলি ১০ থেকে ১৫ মিটার পর্যন্ত বাতাসে ভেসে থাকতে পারে। সেই সময় ওই জায়গায় যদি কেউ শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়, তবে তার সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। এছাড়া হাওয়ায় ভেসে এই ফোঁটাগুলো এদিক-ওদিক চলে যেতে পারে। তবে করোনাকে বায়ুবাহিত ভাইরাস বলতে এখনো নারাজ WHO। এখনো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের পুরনো বক্তব্য অনড়। তাদের মতে করোনা ভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকলেও এই জীবাণু কোনোভাবেই বায়ুবাহিত নয়। কারণ যদি করোনা বায়ুবাহিত হতো, তাহলে এখন গোটা বিশ্বে যত পরিমাণ মানুষ আক্রান্ত, তার বহুগুণ বেশি মানুষ আক্রান্ত হতে পারতেন। সংক্রমণ হতো বহুগুণ বেশি। WHO-এর করোনা মহামারী সংক্রান্ত টেকনিক্যাল হেড মারিয়া ফন কারখোভেও একই কথা বলেছেন। তাঁর বক্তব্য ভিড়ে ঠাসা জায়গায় বা হাওয়া চলাচল করে না, এমন জায়গায় করোনা বায়ুতে থাকতে পারে। এই সব জায়গায় বায়ুবাহিত হতে পারে এই মারণ ভাইরাস। তাই এই ধরনের জায়গা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।