ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে সোনা পাচার-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানালেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন। সংযুক্ত আরব আমির শাহির কূটনৈতিকদের সাহায্যে সোনা পাচারের অভিযোগে উঠে আসে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী দফতরের নাম। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই বিরোধীরা মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়নের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী নেতারা পিনরাই বিজয়নের পদত্যাগ দাবি করে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানান। এবার কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানালেন। মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে লিখেছেন,অন্যদেশের কূটনৈতিক চ্যানেল ব্যবহার করে সোনা পাচারের অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। এই তদন্ত কোনও কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে করা হোক বলে মোদির কাছে আবেদন জানিয়েছেন। তিনি চিঠিতে লিখেছেন, ওই ধরনের ঘটনা ভারতের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে। কোনওভাবেই এই ঘটনাকে প্রশ্রয় দেওয়া যায় না। দেশে শুল্ক দপ্তর ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাও এর তদন্ত করুক বলে বিজয়ন দাবি করেছেন। গত ৪ জুলাই কেরলের তিরুবনন্তপুরম বিমান বন্দরে এসে পৌঁছেছিল ৩০ কেজি সোনা। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির কূটনৈতিক চ্যানেল ব্যবহার করে ওই সোনা আনা হয়েছিল। কেরলে তথ্য প্রযুক্তি দপ্তরের পাশাপাশি পিনরাই বিজয়নের প্রধান সচিব ছিলেন এস শিবশঙ্কর। বিরোধীদের অভিযোগ তিনি সোনা পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বিরোধীদের চাপে বিজয়ন মঙ্গলবারই শিবশঙ্করকে সচিবের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। তবে তিনি শিবশঙ্করের এই পাচারে যুক্ত থাকার ঘটনা অস্বীকার করেছেন। এই সোনা পাচারে অপর এক অভিযুক্ত সরিথ কুমারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তাঁকে ১৫ দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরিথ কুমার আগে তিরুবনন্তপুরমে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির কনস্যুলেটের জনসংযোগ অফিসার ছিলেন। এছাড়াও স্বপ্না সুরেশ নামে এক মহিলার এই পাচার কাণ্ডে জড়িত আছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ তিনি বিমানবন্দরে সোনা ভর্তি ব্যাগটি নিজের বলে দাবি করেছিলেন। তিনিও তিরুবনন্তপুরমে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির কনস্যুলেটের কর্মী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।