Breaking
24 Dec 2024, Tue

প্রাক্তন বিএমওএইচ রণজিৎ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল! আলো-পাখা ‘বন্ধ’ করে রুমে ‘আটকে’ রাখা ও ‘হেনস্থা’ করার জন্য থানায় এফআইআর করলেন জেলার এক স্বাস্থ্যকর্তা

ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেস্ক : ঝাড়গ্রাম ব্লকের মোহনপুরের প্রাক্তন বিএমওএইচ রণজিৎ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে এবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল! আলো-পাখা ‘বন্ধ’ করে রুমে ‘আটকে’ রাখা ও ‘হেনস্থার’ করার জন্য ঝাড়গ্রাম থানায় এফআইআর করলেন জেলার সহকারি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মনোজকুমার মুর্মু। রবিবার সকালে রণজিৎ ভট্টাচার্য বর্তমান বিএমওএইচ মানিক সিং এবং তাঁর লোকজনের বিরুদ্ধে ‘হেনস্থা’ ও ‘খুনের চেষ্টা’র অভিযোগ থানায় করেছিলেন। আর রাতেই অভিযোগকারী প্রাক্তন বিএমওএইচ রণজিৎ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধেই উল্টে অভিযোগ আনলেন ঝাড়গ্রাম জেলার সহকারি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মনোজকুমার মুর্মু। রণজিৎ ভট্টাচার্য সাদা কাগজে অভিযোগ জানিয়ে ছিলেন। কিন্তু ঝাড়গ্রাম জেলার সহকারি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মনোজকুমার মুর্মু তাঁর অফিসের প্যাডে লিখিত অভিযোগ করেছেন। দু’পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ দুটি ক্ষেত্রেই জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে। যদিও আইনজীবীরা জানাচ্ছেন,‘দুটি অভিযোগের মধ্যে ঝাড়গ্রাম জেলার সহকারি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মনোজকুমার মুর্মুর অভিযোগই বেশি গুরুত্ব পাবে। সিনিয়র সরকারি আধিকারিককে এভাবে আটক করা যায় না। কারণ সরকারি নির্দেশ পেয়েই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যে কাজ করতে গিয়েছিলেন। সেই কাজে বাধা দেওয়া এবং অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করা অধঃস্তন আধিকারিকের মোটেই কাম্য নয়। আর এখানে সেই কাজই করেছেন রণজিৎ ভট্টাচার্য।’ যদিও দু’পক্ষের অভিযোগ নিয়েই ‘ধীরে চল’ নীতি নিয়েছে পুলিশ বলে জানা যাচ্ছে। সময় ও গুরত্ব বুঝেই পা ফেলতে চাইছেন ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ কর্তারা। অন্যদিকে, রণজিৎ ভট্টাচার্যকে সোমবার রিলিজ করে দেওয়া হয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে। এরপর তাঁর মুর্শিদাবাদ জেলায় বহরমপুর মানসিক হাসপাতালের ডেপুটি সুপারিনটেন্ডেন্ট পদে যোগ দেওয়া ছাড়া আর কোন রাস্তা খোলা থাকল না!

Developed by